1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শেরপুরে বন্যার শঙ্কা, বাড়ছে নদীর পানি ১৪ দফা দাবিতে লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিকদের কলমবিরতি সাংবাদিক সুরক্ষা আইনসহ ১৪দফা দাবিতে গৌরীপুরে সাংবাদিকদের কলম বিরতি কর্মসূচি পালিত বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো স্টারলিংক মওদুদের এলাকায় বিএনপির সাংগঠনিক দেখভালোর দায়িত্বে জেলা বিএনপি ফরিদপুরে আম পাড়ার সময় গাছের ডাল ভেঙে গ্রীল মিস্ত্রির মৃত্যু টঙ্গীতে বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন করে হত্যা বামনায় ইয়াবাসহ আটক -২ ক্যাম্পাসে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাত আহত রাবি শিক্ষার্থী; ছাত্রদল-শিবিরের নিন্দা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে: আহত ৭ জন

গরিবের ৭ হাজার ১৪০ কেজি চাল তিন ইউপি সদস্যের পেটে

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০২০
  • ৬৮৫ বার পড়া হয়েছে

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের ১৪ দিনমজুরের স্বাক্ষর জাল করে চার বছর ধরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে তিন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এই চালের পরিমাণ সাত হাজার ১৪০ কেজি। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই তিন ইউপি সদস্যের শাস্তির দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা। এছাড়া রেজিস্ট্রি ডাকযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) অভিযোগ পাঠানো হয়।

অভিযুক্তরা হলেন—ইলুহার ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম।

ভুক্তভোগীরা হলেন—উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার গ্রামের আব্দুল মজিদ (কার্ড নম্বর ৮১২), মো. সুলতান (কার্ড নম্বর ৮৫২), জাকির হোসেন (কার্ড নম্বর ৮১৭), আব্দুছ ছালাম (কার্ড নম্বর ৮৬৩), মেজবা উদ্দিন (কার্ড নম্বর ৮৬৭), মো. মাসুম (কার্ড নম্বর ৮৭২), মো. ফজলু (কার্ড নম্বর ৮৬৬), মো. জহিরুল; মলুহার গ্রামের আনোয়ার হোসেন (কার্ড নম্বর ১০৬৭), মো. তারিক (কার্ড নম্বর ১১১৩),  ইসরাত জাহান (কার্ড নম্বর ১০৪৪) এবং ইলুহার গ্রামের মো. মনিরুল (কার্ড নম্বর ৫৭), সাহাদাত হোসেন (কার্ড নম্বর ৬১) ও মো. মজিবর (কার্ড নম্বর ৫৩)।

ভুক্তোভোগীরা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ১০ টাকা কেজিতে চাল দেওয়ার কথা বলে অভিযুক্ত তিন মেম্বার ২০১৬ সালে থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়ে তাদের নামে কার্ড তৈরি করেন। কিন্তু ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ টাকা কেজি দরের চাল পাননি তারা। করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার দরিদ্রদের নগদ সহায়তা দেবে জানতে পেরে ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করলে তাদের জানানো হয় তাদের নামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড রয়েছে। ওই কার্ডের বিপরীতে নিয়মিত চালও উত্তোলন করা হচ্ছে। এ কারণে তাদের নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে না।

বিষয়টি জানাজানি হলে ইউপি সদস্য আবুল কালাম অভিযোগকারীদের মধ্যে ওই ওয়ার্ডের তিন জনের কার্ড ফেরত দেন। কার্ডগুলোতে দেখা যায়, ২০১৬ সাল থেকে মোট ১৭ বার স্বাক্ষর জাল করে প্রতিটি কার্ডের মাধ্যমে ৩০ কেজি করে ৫১০ কেজি চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। ওই তিন ওয়ার্ডের ১৪ জন দরিদ্রের ৫১০ কেজি করে সাত হাজার ১৪০ কেজি চাল উত্তোলন করে তারা।

অভিযোগকারীরা বলেন, বিষয়টি জানার পর ওই চার মেম্বারের শাস্তির দাবিতে সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। অভিযোগের অনুলিপি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডাকযোগে পৃথকভাবে দুদকের বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জনতা বাজারের ওএমএস ডিলার মো. ইয়াছিন বলেন, ‘১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ ও স্থানীয় রব আমীন একবার ১২ জনের কার্ডের চাল উত্তোলন করেছেন। দরিদ্রদের চাল উত্তোলনের বিষয়ে জনতে চাওয়া হলে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি শহীদ ও রব।

চাল আত্মসাতের বিষয়ে ইলুহার ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, ‘তাদের কার্ডের মাধ্যমে চাল নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা চাল উত্তোলন করেনি।’

তবে আপনি কেন স্বাক্ষর জাল করে চাল উত্তোলন করলেন—এই প্রশ্নের উত্তরে চুপ থাকেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com