আজ গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষের উপর সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং এনসিপি ও শিবিরের প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী-জঙ্গিরা নির্বিচারে হামলা ও গুলি চালিয়ে যে ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছে সেটার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার মাস জুলাইয়ে দেশ ধ্বংসের মহোৎসবের অংশ হিসেবে অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রযোজনায় এবং জামাত-শিবিরের সহায়তায় এনসিপি সারা দেশে কর্মসূচি পালন করছে। গোপালগঞ্জের এই কর্মসূচি নিয়ে এনসিপির প্রতারকরা কয়েকদিন ধরে উস্কানিমূলক মন্তব্য করে যাচ্ছে এবং যুদ্ধংদেহী মনোভাব প্রকাশ করছে। এসব কিছুর পেছনে তাদের সুগভীর পরিকল্পনা ছিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে হামলা। তাদের এই ষড়যন্ত্র যখন প্রকাশ পায় তখন গোপালগঞ্জের মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের নিখাঁদ আবেগ থেকে রাস্তায় নেমে আসে এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সাধারণ জনগণের সেই প্রতিবাদ মিছিলে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিবির-এনসিপির জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালায় এবং গুলিতে ৪জন নিহত ও ২৫ জনের বেশি গুলিবিদ্ধ হয়। নিথর পড়ে থাকা গুলিবিদ্ধ দেহ সেনাবাহিনীর এক সদস্য বুট দিয়ে পিষ্ট করছে। যা বর্বরতার যে কোনো সীমাকে অতিক্রম করেছে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ বাংলাদেশের সেনাবাহিনী একটা রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে জনতার বুকে গুলি চালিয়েছে। যা সমগ্র জাতিকে ক্ষুব্ধ ও হতবাক করেছে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় সেনাবাহিনীর মর্যাদা ও সম্মানহানি হয়েছে। সেনাসদস্যের এই প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকার যথাযথ উত্তর আমরা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে প্রত্যাশা করছি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ এসব সন্ত্রাসী ও জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সোচ্চার হয়েছে। এটা ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার ইউনূস ও তার মদদপুষ্ট গুণ্ডাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ ও গণপ্রতিবাদের শুরু। এখান থেকেই সারা বাংলায় দাবানল ছড়িয়ে পড়বে। সেই দাবানলে পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে যাবে অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং ও তার সন্ত্রাসী-জঙ্গি গোষ্ঠীর আস্তানা। গোপালগঞ্জে সংঘটিত এই নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল সারা দেশে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা এবং ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একইসাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।