চৌগাছা উপজেলা নির্বাচনে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীরা।চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিলে
মোট ৯ জন প্রার্থী আছেন মাঠে, সকলেই আওয়ামীলীগের।শুধুমাত্র ক্ষমতাসীনরা এই নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ভোটারদের মাঝে কোনই প্রভাব পড়েনি এমনটিই জানা গেছে সাধারন ভোটারদের সাথে কথা বলে। অন্যান্য নির্বাচন এলে ভোটারদের মাঝে এক ধরনের উৎসবের আমেজ লক্ষ করা যায়, কিš‘ বিপরীত চিত্র এবারের উপজেলা নির্বাচনে।
নানা কারনে চৌগাছা উপজেলার গুরুত্ব অপরিসীম। ভারত সীমান্ত ঘেষা চৌগাছা উপজেলা ১১ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। প্রায় ৪ লাখ জনসংখ্যা বিদ্যমান। বর্তমানে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪’শ ২৮। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১ হাজার ৬৫ ও মহিলা ভোটার ৯৮ হাজার ৩’শ ৬৮। মোট ভোট কেন্দ্র ৮১ ও বুতের সংখ্যা রয়েছে ৫’শ ৭৮টি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে ২০২৪।
এবারের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও চৌগাছা মৃধাপাড়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. এম
মোস্তানিছুর রহমান (প্রতীক মটরসাইকেল) ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম হাবিবুর রহমান (প্রতীক আনারস) নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন।ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন, পৌরসভার ৪নং
ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান (প্রতীক তালা) ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী শামীম রেজা (প্রতীক বৈদ্যতিক বাল্ব)।
এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটযুদ্ধে মাঠে আছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজনিন নাহার (প্রতীক বৈদ্যতিক পাখা), সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নিহত যুবলীগ নেতা ইমামুল হাসান টুটুলের স্ত্রী আকলিমা খাতুন লাকি (প্রতীক কলস), যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক নাছিমা খানম (প্রতীক হাঁস), যুব মহিলালীগ নেত্রী কামরুন্নাহার শাহিন (প্রতীক ফুটবল) ও রিপা ইসলাম (প্রতীক প্রজাপতি)। সকল প্রার্থীই আওয়ামীলগের হওয়ায় এক তরফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেখতে যাচে্ছ চৌগাছার মানুষ অনেকেই এমনটি মনে করছেন।
প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রচার প্রচারনায় নেমে পড়েছেন মাঠে। নিজেরাই নিজেরাই মাঠ গরম রাখার চেষ্টা করছেন
কিন্তু ভোটাররা দি”েছনা সাড়া। গত দুই দিন উপজেলা ও পৌর এলাকাতে একাধিক সাধারন ভোটারের সাথে কথা বলে এমনটি
জানা গেছে। মোঃ মধু পেশায় একজন ভ্যানচালক তিনি জানান,ভোট নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই। রোদের কারনে ভ্যান চালাতে
পারছি না, রোজগার কমে গেছে এই পরি¯ি’তিতে পরিবার পরিজন নিয়ে বেজায় কষ্টে আছি, যারা ভোটে দাড়িয়েছে তারাই আনন্দ
করুক। রাজমিস্ত্রির সহকারী জাবেদ আলী বলেন, ভোট নিয়ে ভাবার মত সময় কই, কাজ করলে চুলায় হাঁড়ি উঠে না করলে না। তাই এসব
ভোটের ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নেই। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিনয় কুমার বলেন, ভোট নিয়ে ভাবছি না, কিভাবে বেঁচে থাকবো সেই চিন্তায় বিভোর। কৃষক আছের উদ্দিন বলেন, এখন কি আর সেই আগের মত ভোট হয় যে, ভোট নিয়ে উৎসব হবে। তারপর শুনছি কোন দল ভোটে আসেনি তাই এখনই ভোট নিয়ে চিন্তা করছিনা সময় এলে ভেবে দেখা যাবে।
এ দিকে তীব্র গরম উপেক্ষা করে ভোটরদের মন জয় করতে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যা”েছন। ইউনিয়ন, পৌরসভার প্রতিটি গ্রাম, পাড়া-মহল্লা ও হাটবাজারে নিজেদের অনুকুলে ভোট প্রার্থনায় তারা অবিরাম ছুটে বেড়াচ্ছেন।