” নামাজ বেহেস্তের চাবি ” প্রচলিত এই বাক্যটি পবিত্র কোরান ও হাদিসের কোথাও উল্লেখ না থাকলেও কাল কিয়ামতের মাঠে মহান আল্লাহ সুবহানুতাল্লাহ প্রথমে এই সালাত বা নামাজের হিসাবই নিবেন বলে মহাগ্রন্থ আল কোরানের বেশ কয়েকটি সূরায় বর্ণনা করেছেন।
এবং যার নামাজের হিসাব সহজ, সুন্দর ও সাবলীল থাকবে, তার ইহকালীন অন্যান্য কাজের হিসাবের ক্ষেত্রে আল্লাহতাল্লাহ ছাড় দেয়ার সম্ভাবনার কথাও আমরা জানতে পারি। সর্বোপুরি হাদিস শরীফে এসেছে, মহানবী হযরত মোহান্মদ মোস্তফা (সাঃ) তার মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তে হযরত আলী (রাঃ) কে হাতের ঈশারায় কাছে ডেকে যে কয়েকটা কথা বলেছিলেন, তার প্রথম কথা বা বাক্যটি ছিলো , সালাত- সালাত- সালাত “।
বিভিন্ন. ইসলামিক স্কলারদের বর্ণনায় আমরা জেনেছি,, নিকোষকালো অন্ধকারের চিরস্থায়ী মাটির ঘর কবরেও রয়েছে এই নামাজের অপরিসীম ফজিলত। যেমন- আমাকে, আপনাকে কবরে শুইয়ে দিয়ে আসার পর এবং মুনকার-নেকিরের জিজ্ঞাসাবাদে দোষী বা বদকারী প্রমানিত হলে, ঐ দুই ফেরেস্তা চলে যাওয়ার পর যখন আজাবের ফেরেস্তা কবরে প্রবেশ করতে চাইবে প্রথম বাধা সৃষ্টি করবে এই নামাজ, এরপর রোজা, কোরানপাঠ সহ আরো অনেক আমলের ফজিলত সেখানে উপস্থিত থাকবে। এই এতো গেল পরকাল বা কিয়ামতের দিনের সালাতের গুরুত্বের সামান্য বর্ণনা।
ইহকাল বা এই পৃথিবীতেও নামাজের হাজারো ফজিলত আমরা ভোগ করতে পারি। যেমন– নিয়মিত জামাতের সাথে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারীর চেহারা থাকবে সব সময় হাস্যজ্জল, তার পরিবারে তেমন কোন চিরস্থায়ী অভাব-অনটন,ও দূঃখ- দূর্দশা লেগে থাকেনা এবং সমাজে সবাই তাকে সন্মান করবে এবং সবচেয়ে বড় কথা একজন নামাজীর রুহ কবজ করা হবে মায়ের বুকের দুধপানকারীর শিশুর মত সহজেভাবেসহ ইত্যাদি আরো হাজারো অগনিয়ত ফজিলত আমরা দেখতে বা উপলব্ধি করতে পারি। সুতারাং সালাত বা নামাজ আমাদের মুসলমানদের জীবনে খুবই জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। আমরা সকলেই অবগত আছি, বর্তমান সরকার নামাজ কায়েমের জন্য সারাদেশে ৫৬০ টিরও বেশি মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছেন। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয় একটা কাজ। সুরাতাং সরকারের কাছে আমাদের দাবী,, সালাত বা নামাজকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আইন করে বাধ্যতামূলক করা হোক।