চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনে পুলিশের উপর অভিযোগ করেছেন ভোলাহাট উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান । সোমবার ১৪ জুলাই এ অভিযোগ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপি র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহনাজ খাতুন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এক দম্পতির মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ২৮ জুন রাতে কোন ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতার করে ভোলাহাট থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তার ওপর অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ও সার্কেল অফিসার ইয়াসির আরাফাত। ভোলাহাট থেকে তাকে জেলা সদর পুলিশ ফাঁড়িতে এনে রাত এগারোটা থেকে পরের দিন বিকাল পর্যন্ত আয়না ঘরে আটকিয়ে রেখে নানাভাবে নির্যাতন চালাই। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ওসি মোঃ মতিউর রহমান ও মহিলা ডাক্তারের উপর নানা অভিযোগ তুলে ধরেন সংবাদ সম্মেলনে। শাহনাজ খাতুন আর ও বলেন, পরেরদিন তাকে হাসপাতালে না নিয়ে বীনা চিকিৎসায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, তিনি ১০ জুলাই মুক্তি পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি বলেন, পুলিশ তার গায়ে হাত দিয়েছেন। তবে এসব। অভিযোগ অস্বীকার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করীম বলেছেন, তাকে মহিলা পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার উপর কোন প্রকার শারীরিক নির্যাতন বা অসাধারণ করা হয় নি। তার এসব অপব্যাখ্যার কথা ভেবেই তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সনদ দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে ও বিতর্কে ফেলার ফেলার চেষ্টা করছে। তিনিই পুলিশের সাথে অসাদাচরণ করেছেন এবং নানান ধরনের বাজে কথা বার্তা বলেছেন। পুলিশ সুপার আরও বলেন, পুলিশ কোন অন্যায় করেনি। তিনিই তার অন্যায় ঢাকতে এমন সাজানো সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।