বন্যা দুর্গত এলাকায় পানি ফুটানো বা ফিল্টার করা কোনোটাই সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমন পরিস্থিতিতে পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য দুটি উপাদানের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। জানেন কি, সে দুটি উপাদানের কথা?সাধারণত পানি বিশুদ্ধকরণের দুটি উপায় বেশি জনপ্রিয়। একটি পানি ফুটিয়ে, অন্যটি ফিল্টার করে। কিন্তু বন্যাদুর্গত এলাকায় পানি ফুটানো বা ফিল্টার করা কোনোটাই সম্ভব হয়ে ওঠে না।
অনেকেই বন্যাদুর্গত এলাকায় নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির ট্যাবলেটের ব্যবহারকে বেশি প্রাধান্য দেন। কিন্তু প্রয়োজনের সময় পানি বিশুদ্ধকরণের ট্যাবলেটও সহজে মেলে না। তাহলে কী করবেন, জানেন কী?দ্রুত ও সহজ উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করতে বেছে নিতে পারেন ক্লোরিন ও পটাশের ব্যবহারকে। ক্লোরিন বা পটাশের ব্যবহার পানিতে থাকা রোগ জীবাণু দ্রুত ধ্বংস করতে পারে।
ক্লোরিন ও পটাশের নাম শুনে হয়তো ভাবছেন সহজে এগুলো কীভাবে হাতের কাছেই পাবেন, কী তাই তো?তাহলে জেনে নিন, ক্লোরিনের একটি ভালো উৎস ব্লিচিং। আর পটাশের সবচেয়ে ভালো উৎস ফিটকিরি। এবার জেনে নিন, পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য ব্লিচিং বা ফিটকিরি কীভাবে ব্যবহার করবেন?প্রথমেই জেনে নিন, খাওয়ার জন্য নিরাপদ করতে পানি প্রথমে চুলার তাপে ফুটতে দিন। পাত্রে বলক এলেই চুলা বন্ধ করে দেবেন না। বরং এ সময়টাতেই ১ থেকে ৩ মিনিট পানি গরম করে নিন। এতে পানিতে থাকা জীবাণু ও ভাইরাস ধ্বংস হওয়ার সুযোগ পাবে।কিন্তু বন্যার্ত এলাকায় পানি ফুটানোর সুযোগ নেই। তাই সাধারণ পানিতেই ব্লিচিং বা ফিটকিরি ব্যবহার করে পানিতে খাবারের উপযুক্ত করুন।