চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের টানা কর্মবিরতি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শেষ হয়েছে। আজ দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন চিকিৎসকদের দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। চার দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই দুই ঘরানার চিকিৎসকেরা ধর্মঘট পালন করছেন।
২৩ মার্চ থেকে সারা দেশের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁরা এই কর্মবিরতি আহ্বান করেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন বাড়িয়ে ৩০ হাজার এবং পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা তাঁদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়া চিকিৎসা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, বিভিন্ন বকেয়া ভাতা প্রদানের দাবিও রয়েছে।
ষষ্ঠ দিনের কর্মবিরতি চলাকালে পাঁচ শতাধিক ইন্টার্ন চিকিৎসক হাসপাতালে তাঁদের কার্যালয়ে অবস্থান নেন। কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালের দুই হাজারের বেশি রোগী চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মূলত প্রাথমিক চিকিৎসা এবং রোগী সুরক্ষার কাজটি দিয়ে থাকেন এসব ইন্টার্ন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনিরা। ফলে তাঁরা না থাকায় ওয়ার্ড চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিভাগীয় প্রধানদের। বিভিন্ন ওয়ার্ডে অনেক ডাকাডাকি করেও চিকিৎসক মেলেনি। প্রসূতি বিভাগে ভর্তি এক রোগীর হাসান নামের অভিভাবক বলেন, ওয়ার্ডে ইন্টার্নরা না থাকায় চিকিৎসকদের ডাকাডাকি করেও পাওয়া যাচ্ছে না।
জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক না থাকলে তো সংকট হবেই। রোগীদের যত্নের কিছুটা অভাব হচ্ছে। আগে যেখানে সঙ্গে সঙ্গে রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ পেতেন এখন দেরি হচ্ছে। বিষয়টা মেনে নিয়েই হাসপাতাল চালাতে হচ্ছে। এতে করে অস্ত্রোপচার কিছুটা কমেছে। আর রোগীদেরও বিষয়টা মেনে নিতে হচ্ছে।
জানতে চাইলে চমেক ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুকেশ রঞ্জন দে বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ষষ্ঠ দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছি। আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হবে। তাতে বিষয়টির সমাধান হলে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।(সূত্র:প্রথম আলো)