নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া স্বামীকে স্ত্রীর দাফনের আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় স্ত্রী সুমী আক্তার(২২) কে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায় স্বামী রুপন আহমেদ রুপা।
পুলিশ খবর পেয়ে রবিবার(১৯ শে নভেম্বর) বিকালে মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।এর পরপরই অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালায় পুলিশ। সোমবার(২০ শে নভেম্বর) ভোর রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় স্ত্রীর দাফনের আগেই অভিযুক্ত স্বামীকে কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মোঃহারুন অর রশীদ বিপিএম। গ্রেফতারকৃত রুপন আহমেদ রুপা ঘোড়াশালের মিয়াপাড়া গ্রামের আঃরহীমের ছেলে। নিহত স্ত্রী সুমি আক্তার(২২) একই গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে।পুলিশ জানায়, প্রায় ৭ বছর আগে মিয়াপাড়া গ্রামের আঃরহীমের ছেলে রুপন আহমেদ রুপার সাথে সুমী আক্তারের বিয়ে হয়। ২ বছর আগে সুমী আক্তার কাজের উদ্দ্যেশে সৌদিআরবে পাড়ি জমান।দেড় মাস আগে ছুটি নিয়ে বাড়ীতে আসলে টাকাপয়সার হিসাব নিয়ে স্বামী রুপনের সাথে বিভিন্ন সময় ঝগড়া লেগে থাকতো।
শনিবার(১৮ ই নভেম্বর) দিবাগত রাতে কোন এক সময় স্ত্রীর সাথে রুপনের ঝগড়া বাঁধে, ঝগড়ার এক পর্যায়ে রুপন স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ খাটের নিচে রেখে দেয়। পরে সকাল বেলায় তার ৪ বছরের মেয়ে সুমির বোনের কাছে রেখে সে পালিয়ে যায়। পলাশ থানার ওসি(তদন্ত) মোঃজসিম উদ্দীন জানান, এই হত্যাকাণ্ডের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত আসামী রুপন আহমেদ রুপাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামী রুপন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে পলাশ থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে নরসিংদী কোর্টে পাঠানো হয়েছে।