নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সানজিদা আক্তার (১৭) নামে এক নব গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বিকেলে নিজ বাবার বাড়ি পৌর শহরের সাধুপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে স্বামীর খোঁজ মিলছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত সানজিদা আক্তার দুর্গাপুর পৌরশহরের বাগিচাপাড়া এলাকার আলামিন আকন্দের স্ত্রী। আর সাধুপাড়া এলাকার জাকির হোসেনের মেয়ে সানজিদা। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৬ মাস পূর্বে একই শহরের বাগিচাপাড়া এলাকার আলামিন আকন্দের সঙ্গে সানজিদার বিয়ে হয়। তাদের বিয়ে ছিল নিজেদের পছন্দের। তবে বিয়ের ২ মাস পর থেকেই সানজিদা স্বামী নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। তার স্বামী অটো রিক্সা চালাতেন। গত রাতে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে সে-সময় মারধরের শব্দ পেয়ে বড় মেয়েকে পাঠিয়ে ঝগড়া থামান সানজিদার মা। পরে সকালে আবারও দরজা বন্ধ করে ঝগড়া শুরু হলে তিনি গিয়ে দরজা খুলতে বললেও দরজা খুলেনি তারা। কিছুক্ষণ পরে মেয়ের জামাই আলামিন সবার অগোচরে ঘর থেকে বের হয়ে চলে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা দুপুরের দিকে ঘর থেকে সানজিদার নিথর দেহ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সানজিদার মা জাহানারা বেগম বলেন,সকালে ঝগড়ার পরে আমার মেয়ে আর ঘর থেকে বের হয় নাই। সে অসুস্থ তাই ভেবেছি ঘুমাচ্ছে পরে যখন সকাল পেরিয়ে দুপুর হলেও তার সাড়া শব্দ নেই। তখন ঘরের ভিতরে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে ডাক দিলেও সাড়া নেই । তারপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলে আমার মেয়ে মারা গেছে।
সানজিদার মায়ের নিকট দুইজনের ঝগড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,জামাই মিথ্যা কথা বলে বিয়ে করেছে আর ঋণ করে বিয়ে করেছে। কয়েকদিন ধরে মেয়ের গয়না নিতে চাইতেছে আমাদের ধারণা এইগুলো নিয়েই হইত ঝগড়া ।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব বলেন,যতটুকু সংবাদ পেয়েছি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। ঘটনার পরে স্বামীর কোন খোঁজ মেলেনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। বিষয়টি তদন্তধীন আছে।