বগুড়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।বুধবার দুপুরে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর এই রায় দেন।
দণ্ডিত ব্যক্তির নাম শামীম প্রাং। তিনি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার দক্ষিণ আমইন এলাকার মাসুদ প্রাং এর ছেলে। এই মামলায় শামীমের বাবা-মাসহ অপর তিন আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী স্পেশাল পিপি আশেকুর রহমান সুজন।
তিনি জানান, ২০১২ সালে শামীমের সাথে নাজিরা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নাজিরার বাবা ইউসুফ আলী মেয়ের সুখের কথা ভেবে মোট দেড় লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণ প্রদান করে। আরও ৫০ হাজার টাকা বিয়ের এক বছরের মধ্যে দিয়ে বলে নাজিরার বাবা প্রতিশ্রুতি দেন। পরে সেই টাকার জন্য নাজিরাকে মাঝে মধ্যেই মারপিটসহ শারীরিক নির্যাতন শুরু করে শামীম। ২০১৩ সালের ৫ মে দুপুর দুইটার দিকে যৌতুকের আরও ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য নাজিরাকে চাপ প্রয়োগ করে শামীম। নাজিরা ওই টাকা আনতে অস্বীকার করলে শামীম কাঠের খড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে নাজিরাকে হত্যা করে। পরে ওইদিন রাতেই নাজিরার বাবা শামীম, তার বাবা মাসহ চারজনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার সকল স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে শামীমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। এছাড়া বাকি অপর তিন আসামিকে খালাস দেয়া হয়৷তিনি আরও জানান, রায় শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।