মহানবী (সা.) মসজিদে নববীর মিম্বারে দাঁড়ানো অবস্থায় বৃষ্টির জন্য দোয়া করেছেন। আবার ঈদগাহে কিংবা খোলা ময়দানে বিশাল সমাবেশে ইসতিসকার নামাজে ইমামতি করেছেন। বৃষ্টির জন্য দুই হাত তুলে মোনাজাতও করেছেন।
হাদিস শরিফে আছে, প্রিয় নবী (সা.) বৃষ্টির জন্য দোয়া করতে বের হলেন। তিনি কেবলামুখী হয়ে দোয়া করলেন এবং নিজের চাদরখানা উল্টিয়ে দিলেন। তারপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। তিনি উভয় রাকাতে কেরাত পাঠ করেন সশব্দে।
অনাবৃষ্টি বা খরাজনিত কারণে বৃষ্টির জন্য আল্লাহতায়ালার দরবারে দোয়া করা সুন্নত। অনাবৃষ্টি আক্রান্ত এলাকার সর্বস্তরের মানুষ ভালো পোশাক পরিধান করে খুবই বিনীতভাবে হেঁটে খোলা ময়দানে সমবেত হয়ে বিনম্রভাবে কাতরস্বরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হয়। তারপর ইমামের পেছনে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়। এ নামাজে আজান-ইকামত নেই। ইমাম কেরাত পাঠ করবেন উচ্চৈঃস্বরে। ইমাম তার গায়ের চাদর উল্টিয়ে নেবেন অর্থাৎ চাদরে ডান পাশ বামে এবং বাম পার্শ্ব ডানে পরিবর্তন করে কিবলামুখী অবস্থায় হাত উঠিয়ে দোয়া করবেন। এর আগে খুতবা দেবেন। বহু নজির আছে এ নামাজ শেষ হতে না হতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে থাকে। যদি না হয় মোট তিন দিন এই নামাজ আদায় করতে হয়।