উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর আমন মৌসুমে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ২০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে আরও বেশি। এর মধ্যে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় এক হাজার ৫০০ হেক্টরের মত আমন ধান পানিতে তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে আর ২ হাজার হেক্টর আমন ধান আংশিক নষ্ট হয়েছে।
আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে হেক্টর প্রতি ৪.৫-৫.০০ মে.টন। কৃষি অফিসের ব্যাপক তৎপরতা, কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম, বীজ ও সার প্রনোদনা, অনুকূল আবহাওয়া, সার, কীটনাশকসহ বাজারে কৃষি উপকরণের পর্যাপ্ত সরবরাহ ও সেচের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের ব্যবস্থাপনা এবং আবাদ উপযোগী পরিবেশ ইত্যাদি বিবেচনায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষি বিভাগ।
উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের কৃষক নাজমুল হক বলেন, আমি তিন বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হয়েছে। আশা করছি ফলন ভাল হবে। যদিও অতি বৃষ্টিতে অনেক ক্ষতি হয়েছে।
খালিজুরা গ্রামের কৃষক শহিদ মিয়া হতাশার সুরে বলেন, খরচের তুলনায় বাজারে ধানের দাম নেই। গত বছর প্রতি মণ আমন ধান বিক্রি হয়েছে ১২০০-১৩০০ টাকা, আর এবছর ১০০০-১০৫০ টাকা।. ইরিবোরো মৌসুমে ও ধানের দাম পাওয়া যায়নি। বাজারে সার, বীজ, কীটনাশক সহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য আমন ধানের ভালে দাম না পেলে কৃষকের মরণ দশা হবে।
কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন সুলতানা বলেন, উপজেলায় ২০ হাজার হেক্টরের অধিক জমিতে আমন চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ৪০০০ হেক্টরের মত জমির আমন ধান পানিতে তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রনোদনা হিসাবে কৃষকদের মাঝে সার, বীজ প্রদান করা হয়েছে। আবহাওয়া ভালো, রোগ-বালাই, পোকামাকড় নেই ও সময় মতো বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না দেখা দিলে আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।