কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে একাধিক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্য থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন। কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) সংসদীয় আসন থেকে পরপর দুটি গত সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হন তিনি।
এবারও নৌকার মনোনয়ন পেয়ে সবার আগে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে তেমন শক্ত অবস্থান নেয়ার মতো তেমন কোনো প্রার্থী না থাকায় অনেকটাই নিস্তার ছিলেন নৌকার মনোনীত প্রার্থী ইউসু আব্দুল্লাহ হারুন।
শেষ পর্যন্ত ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীতায় টিকে যায় কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার। মনোনয়ন পত্রের সঙ্গে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনে স্বাক্ষরযুক্ত তালিকায় গরমিলের অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলম সরকার প্রার্থিতা ফিরে পেলে আসনটির দৃশ্যপট বদলে যায়। জাহাঙ্গীর আলম সরকার প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে মাঠে নামায় তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। সাধারণ ভোটারদের মুখে-মুখে শুধু একটি কথা এবার এসেছে সুযোগ বাঁধ ভেঙে দাও আসুক পরিবর্তনের স্রোত… চাপে পড়েছেন নৌকার প্রার্থী দুইবারের সংসদ সদস্য ইউসুফ আব্দুল হারুন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার একজন কর্মীবান্ধব এবং সাধারণ মানুষের বিপদে-আপদে সব সময় পাশে থেকে সবার মন জয় করে নিয়েছেন তাই নির্বাচনী মাঠে জাহাঙ্গীর আলম সরকার রয়েছেন শক্ত অবস্থানে।
সাধারণ ভোটারদের মুখে একটাই কথা এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ লড়াই হবে সময় এসেছে পরিবর্তনের,৭ জানুয়ারি ভোটাধিকার প্রয়োগ করে বাঁধ ভেঙে দাও আসুক পরিবর্তনের স্রোত….
নৌকার প্রার্থী ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের অনুসারীদের মধ্যে অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সরকারের সাথে নির্বাচনী প্রচারণা ও সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ঈগল মার্কার ভোট চাচ্ছে এমনকি তাঁদের মুখেও শোনা যাচ্ছে একই কথা, সময় এসেছে পরিবর্তনের,৭ জানুয়ারি ভোটাধিকার প্রয়োগ করে,বাঁধ ভেঙে দাও আসুক পরিবর্তনের স্রোত……
আসনটিতে ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন ও জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে ছাড়াও মোট ১১ জন প্রার্থী রয়েছে। নির্বাচন প্রসঙ্গে জাঙ্গীর আলম সরকার বলেন,আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল,আল্লাহর অশেষ রহমতের বিনিময়ে তা ফিরে পেয়েছি,মুরাদনগর উপজেলার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের মাঝে যে উচ্ছাস দেখেছি তা আমার নির্বাচনের জন্য মহান সৃষ্টি কর্তার দেয়া শ্রেষ্ঠ উপহার,নির্বাচনী মাঠে সাধারণ মানুষই আমার শক্তি।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ২৭ বছর সাধারণ সম্পাদক ছিলাম এবং দলের জন্য অনেক কাজ করেছি,তাই আওয়ামী লীগের নেতারাও আমার সঙ্গে আছেন,সবাই পরিবর্তন চায় সবার মুখে মুখে শুধু একটি কথাই বাঁধ ভেঙে দাও আসুক পরিবর্তনের স্রোত…..
অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে আমি জয়লাভ করবো ইনশাআল্লাহ্।