প্রার্থীতা ফিরে পেতে আবারও আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করেছেন বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদ। আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আজ মঙ্গলবারই তিনি এ আবেদন করেন। শাম্মীর আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ওই দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আপিল শুনানিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বরিশাল-৪ আসনের শাম্মী আহমেদ ও ফরিদপুর-৩ আসনের শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করে সংস্থাটি।
পরে দুজনে হাইকোর্টে পৃথক রিট করেন। গত ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত বহাল রেখে শাম্মীর রিট খারিজ করে দেন বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। গত ১৫ ডিসেম্বর দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রার্থীতা বাতিল হয় শাম্মীর। আপিল আবেদন শুনানি করে এমন রায় দেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন (ইসি)। পরে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করেন শাম্মী।
এর আগে শাম্মী এবং একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ পরস্পরের প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে আপিল করেন ইসিতে। শুনানি শেষে শাম্মীর প্রার্থীতা বাতিল হলেও বহাল থাকে পঙ্কজের। শাম্মী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও তা গোপন করেছেন বলে অভিযোগ ছিল পঙ্কজের।
নির্বাচন কমিশন বর্ণিত আপিলকারীর দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেয়। ইসির নির্দেশানুযায়ী, ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় শাম্মীর দেশটির দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে ১৪ ডিসেম্বর ইসি সচিবালয়ে পাঠানোর পর প্রার্থীতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর পঙ্কজের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ করেছিলেন শাম্মী।