ফরিদপুরে জেলার নগরকান্দা উপজেলার মহাসড়ক থেকে পাঁচশতাধিক মুরগী ভর্তি পিকআপ ডাকাতির ঘটনায় রহস্য উন্মোচিত হয়েছে দাবী করে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ফরিদপুর জেলা পুলিশ। বুধবার দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম জানান, গত ১৪ জানুয়ারী দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা এলাকার মানিকনগর সেতু এলাকায় মহাসড়ক থেকে একটি মুরগী বহনকারী পিকআপকে ডাকাতদের পিকআপ গাড়ীটি দিয়ে চাপ দিয়ে গতিরোধ করে। পরে দ্রুত ডাকাত দলের সদস্যরা মুরগী বহনকারী পিকআপ থেকে চালক ও মুরগীর মালিককে নামিয়ে মারধর করে মুরগী বহনকারী গাড়ীটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মো. মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় মামলা মামলা দায়ের করলে তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ ২২ জানুয়ারী প্রথম রাতে (ভোর রাত) গাজীপুরের টঙ্গি থানার মিরাশ পাড়া থেকে মো. মোহসিন নামের একজনকে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকায় আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্য মোতাবেক ২৩ জানুয়ারী মধ্য রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সুজন মাতুব্বর সজল, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থাকার মো. আশরাফুল হোসেন ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মো. দেলোয়ার হোসেন বাদশাকে আটক করে।আটককৃতদের নিকট থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ, লুন্ঠিত মুরগী বিক্রির ২৬ হাজার পাঁচশ টাকাও একটি ভিভো ফোন উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইমদাদ হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও শৈলেন চাকমা, কোতোয়ালি থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ হাসানুজ্জামান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্কর উপস্থিত ছিলেন।