ছাত্রলীগ নেতা আপেলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
শামীম আহমেদ
-
প্রকাশের সময় :
রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪
-
১১৪
বার পড়া হয়েছে
নেত্রকোনার কেন্দুয়া সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুখলেছুর রহমান বাঙালীর বাসায় গিয়ে অস্ত্রের মুখে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আপেল মাহমুদসহ অজ্ঞাত নামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিক্ষক মুখলেছুর রহমান বাঙালী বাদী হয়ে গত ২৪ জানুয়ারি কেন্দুয়া থানায় ছাত্রলীগ নেতা আপেল মাহমুদসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
এরেই প্রেক্ষিতে ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে কেন্দুয়া থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারের উদৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, গত ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছত্রলীগ নেতা আপেল মাহমুদ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন সঙ্গী নিয়ে বিভিন্ন অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্ঞিত হয়ে সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বাস ভবনে যান। সেখানে আতংক সৃষ্টি করে শিক্ষকের নিকট ২০ লাখ টাকার চাঁদা দাবি করেন। এসময় হুমকি দিয়ে বলেন, যদি ওই টাকা ৩ দিনের মধ্যে না দেওয়া হয় তাহলে শিক্ষকের বাস ভবন ও বিদ্যালয়ের গেইটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হবে। তাৎক্ষনিক এ ঘটনার খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
২৪ জানুয়ারি মুখলেছুর রহমান বাঙালী বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা আপেল মাহমুদসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। শুক্রবার সন্ধ্যার আগে ছাত্রলীগ নেতা আপেল মাহমুদ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নিজেকে নির্দোস দাবি করে অভিযোগটি ষড়যন্ত্রমূলক বলে অভিযোগ করে। রাতে মামলা দায়েরের পর থেকে পুলিশ আপেল মাহমুদসহ তার সঙ্গীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালায়। এর পর থেকে ঘা ঢাকা দেন ছাত্রলীগ নেতা আপেল মাহমুদসহ তার সঙ্গীরা।কেন্দুয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হুসাইন মোহাম্মদ ফারাবি বলেন, আপেল মাহমুদ সহ অজ্ঞান নামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। আমরা ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এদিকে মুখলেছুর রহমান বাঙ্গালী জানান, চাঁদা দাবি ও হুমকি ঘটনার পর থেকে তিনি ও তার পরিবারের সদস্য জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভোগছেন। তিনি অবিলম্বে আপেল মাহমুদসহ তার সঙ্গীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
এ বিভাগের আরো সংবাদ