কাজিমুদ্দিনকে গলা কেটে হত্যার প্রধান আসামি আব্দুল লতিফকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে নির্বাচনী সহিংসতার কোন সম্পর্ক নেই বলেও নিশ্চিত করেছে র্যাব।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। এর আগে আশুলিয়া থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার লতিফ নিহত কাজিমুদ্দিনের বড় ভাই মৃত আলী মোহাম্মদ খানের ছেলে। লতিফের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই দীর্ঘদিন যাবত তার চাচাদের সঙ্গে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা লেগেই থাকত।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী তার বাড়ির পাশের ডেইরি ফার্মে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সেদিন রাতে ভুক্তভোগী ও লতিফের মধ্যে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে লতিফ উত্তেজিত হয়ে রুমে থাকা বটি দা দিয়ে ভুক্তভোগীর গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করে।
তবে হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনাকে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতা আখ্যা দিয়েছিল পরিবার। এমনকি বেশ কিছু মিডিয়া পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি সেভাবেই উপস্থাপন করে।কেন এমন অভিযোগ তোলা হয়েছিল সংবাদকর্মীদের এই প্রশ্নে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গত নির্বাচনে অন্য প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে তার বাক বিতন্ডা হয়েছিল। এমনকি নির্বাচনে কাজিমুদ্দিনের সমর্থিত প্রার্থী হারার পরে তাকে এ নিয়ে লজ্জা দেয়া হয়েছিল। তার পরিবারের লোকজনও বিষয়টি জানত। এছাড়া তার আপন ভাতিজা এমন হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে এমন কোন ধারণা তাদের ছিলনা। তাই প্রাথমিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডকে নির্বাচনী সহিংসতা মনে করেছিল তার পরিবার।’
বাড়ির কাছে নিজেদের খামারের একটি কক্ষে প্রায়ই রাতে অবস্থান করতেন কাজিমুদ্দিন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে নিহতের স্ত্রী সেই ঘরের দরজার তালা খুলে ভেতরে ঢুকে বিছানার ওপরে স্বামীর মরদেহ দেখতে পান। এ সময় নিহতের গলায় ধারালো অস্ত্রের জখম ছিল। পুলিশকে অবহিত করলে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী।