জয়পুরহাটে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়ন সচেতনতা প্রচার কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় এবং ইউনিসেফের সহায়তায় জয়পুরহাট জেলা তথ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এ কর্মশালায় জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইব্রাহিম মোল্লা সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন ডা. মো. আল মামুন প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (মহিলা ও সমন্বয়ক) মাসরিয়াত জাহান বর্ষা, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. সাজেদুর রহমান, জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জুবাইর মো. আল ফয়সাল, জয়পুরহাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা প্রমুখ।
কর্মশালায় জানানো হয়, আগামী ১২ অক্টোবর টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পইন শুরু হবে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সি শিশু, কিশোর-কিশোরী অথবা প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করা সকলেই বিনামূল্যে টাইফয়েডের এক ডোজ টিকা দেওয়া হবে। এ জেলায় ২ লাখ ২৬ হাজার শিশু-কিশোরীদের টাইফয়েড টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখন পর্যন্ত (সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল) এক লাখ ৬ হাজার অনলাইনে রেজিস্ট্রশন করেছে। ক্যাম্পেইন শুরুর আগেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে পারে। এই টিকা নিয়ে ফেসবুকে এআই দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এই টিকা দিলে কোনো সমস্যা হবে না। এই টিকা গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে গণমাধ্যম কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. আল মামুন বলেন, টাইফয়েড একটি মারাত্মক ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ যা শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। টিকাদান কর্মসূচি শিশুদের জীবন রক্ষায় ও তাদের সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে অত্যন্ত জরুরি। এই কর্মসূচি সম্পূর্ণ করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।