1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার নদীতে মিলল ৭০ বছরের বৃদ্ধের লাশ নতুন শহিদ শনাক্তকরণ ও নন-গেজেটেড আহতদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে মাদারীপুরে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত দূটি হাঁসের বাচ্চা থেকে ১৭০০টি হাঁস টাংগাইলের নাগরপুরে জুয়া খেলায় বাঁধা দেয়ায় প্রাণনাশের হুমকি নিরাপত্তাহীনতা দর্শনা চেকপোস্টে স্ত্রীসহ আটক ঝিনাইদহ আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতা চুয়াডাঙ্গার উথলী স্টেশনে আকাশ হত্যার বিচারের দাবিতে ট্রেন আটকিয়ে মানববন্ধন বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে বরগুনায় মানবন্ধন কর্মসূচি পালিত চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ৬ টঙ্গীবাড়ীতে ব্রডব্যান্ডের মালিকানা ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন নেছারাবাদে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত

বয়স্ক ভাতার একটা কার্ড চান ৯০ বছরের আব্দুর রব

ওমর ফারুক
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৯২ বার পড়া হয়েছে
বয়সের ভারে ন্যুব্জ আব্দুর রব। বার্ধক্যজনিত কারণে নানা রোগে-শোকে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন তিনি। বয়স হয়েছে ৯০ বছর। চিকিৎসা দূরের কথা, তিন বেলা খাবার জোটানোও তাঁর জন্য কষ্টকর। জীবনের শেষ সময়ে একটু সচ্ছলতার আশায় বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ধরনা দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। ১৫ বছর ধরে আশ্বাস মিললেও এখনো জোটেনি কোনো কার্ড। স্ত্রী মৃত্যুর পর থাকেন অন্যের ঘরে দিন কাটে এক বেলা খেয়ে না খেয়ে।
আব্দুর রব বাড়ি রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর  ইউনিয়নের মাছিমপুর  গ্রামে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাঁর জন্মতারিখ ১৯৩৭ সালের ২ মে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর বয়স সর্বনিম্ন¤৬২, আর পুরুষের বয়স সর্বনিম্ন ৬৫ বছর। সে অনুযায়ী আব্দুর রবের বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও এত দিনেও কেউ তাঁর সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি।
এলাকাবাসী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আব্দুর রবের স্ত্রী মারা গেছেন প্রায় ২০ বছর আগে। সহায়-সম্পদ বলতে একখণ্ড বাড়িভিটা ছাড়া তাঁর তেমন কিছু নেই। সংসারজীবনে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে তার। আব্দুর রবের বড় ছেলে মফিজ অন্যের দোকানে চাকরি করে কোন মতে জীবিকা নির্ভর করে। ছোট ছেলে রিক্সা চালিয়ে নিজের সংসার দেখভাল করে।
আব্দুর রব বলেন, ‘স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আমি দুই মেয়ের বাড়িতে থাকি। ওদের সংসারও টানাপোড়া।  বাড়িতে থাকলে ছোট ছেলে শাহ আলম  বউ-ছাওয়াল নিয়ে কোনোরকম কষ্ট করে চলে। তাই নিজ গ্রামে আমাকে জীবন পার করতে হচ্ছে। অসুস্থ হলে ঠিকমতো ওষুধ কিনে খ্যাতে পারি না। একটু খ্যায়ে-পড়ে চলার জন্য ম্যালা দিন ধরে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য কত্তবার গেছি, হিসাব নাই। ব্যাবাক খালি কথা দিছে, কেউ কথা রাখেনি। আর কত বয়স হলে আমাকে কার্ড দিবে?’
রিক্সা চালক ছেলে শাহ আলম  বলেন, ‘উপার্জনের টাকায় না চলায় ধ্যারদেনা করে খুব কষ্টে চলতেছি। তার ওপর বাবার দেখাশোনা করতে হয়। এর মধ্যে অসুস্থ বাবার ওষুধ খাওয়ানো লাগে। বয়স হয়ে যাওয়ায় বাবা প্রায় সব সময়ই অসুস্থ থাকে। বয়স্ক ভাতার কার্ডটা হলে খুব  উপকার হতো।’
এ ব্যাপারে চন্ডিপুর  ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি)  চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম সুমন  বলেন, ‘এত বয়সী এই বৃদ্ধ ব্যক্তির বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়নি, এটা আমার জানা ছিল না। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর তিনি আমার কাছে এ ব্যাপারে আসেননি। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সঙ্গে কথা বলে যৌক্তিকতা থাকলে আমি তাঁর একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেব।’
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com