অনলাইন ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেকের ঘড়বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন অনেকেই। এমন অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারা। উপকূলীয় অঞ্চলে যাদের বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে, তাদের ঘরবাড়ি পুনঃনির্মাণ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। সেই সঙ্গে তাদের জন্য সুপেয় খানার পানির ব্যবস্থাও করেছেন তামিম-মুশফিকরা।
বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) বাংলানিউজকে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিনি জানিয়েছেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্রিকেটারা যে অর্থ দান করেছেন সেখান থেকেই কিছু টাকা আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দান করা হচ্ছে। পাশপাশি তাদর বিশুদ্ধ খাবার পানিরও ব্যবস্থা করে দিয়েছেন ক্রিকেটাররা।
বুধবার রাতে নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রথম এই খবর জানায় ফুটস্টেপস। জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তারা লিখে, ‘বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল ঘূর্ণিঝড় আম্পান দ্বারা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিধ্বস্ত বাড়িগুলি পুনঃনির্মাণে সাহায্যের হাত এগিয়ে দেওয়াতে আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ ও উচ্ছ্বসিত। তাদের সহায়তায় অনেক পরিবারেরই আর নিরাপদ আশ্রয় ছাড়া ঘুমানোর চিন্তা করতে হবে না। অসংখ্য ধন্যবাদ টাইগারদের, আম্পান দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের জীবিকা পুনরুদ্ধারে আমাদের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য।’
এ ব্যাপারে তামিম ইকবাল বলেন, ‘আমরা (করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য) যে টাকাটা দান করেছিলাম, অর্থাৎ ২৫ লাখ টাকা, ওই টাকা থেকেই আমরা ওখানে কিছু টাকা দান করেছি যাদের ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে তাদের সেগুলো পুনঃনির্মাণ করে দেওয়ার জন্য। ফুটস্টেপের (স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান) সঙ্গে কাজটা করেছি কারণ তাদের চিনি এবং তারা খুব ভালোভাবে কাজটা করে, বিশ্বস্ত। আর আমাদের পক্ষে এখন ওই জায়গায় গিয়ে বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া সম্ভব না। কারো মাধ্যমে তো যেতেই হবে যাদেরকে আমরা বিশ্বাস করি। এ কারণেই ওদের সঙ্গে কাজটা করা। মানুষের উপকার হোক এটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি করি বা অন্য কেউ করুক সেটা বড় বিষয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া আমরা ৬-৭ হাজার লিটারের বড় বড় গাজী ট্যাংক ওখানে পাঠিয়েছি। ওখানে পানির খুব সমস্যা, মানুষ বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারছে না। আমাদের সবার পক্ষ থেকে এটা করা হয়েছে, একার পক্ষে তো করা সম্ভব না। পুরো বাংলাদেশ টিমের পক্ষ থেকে যা পারছি একটু করে হেল্প করার চেষ্টা করছি।’
এর আগে জাতীয় দলে ২৭ জন ক্রিকেটার মিলে ২৫ লাখ টাকা দান করেছিলেন করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার জন্য।