1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বগুড়া শিবগঞ্জ মোকামতলায় ৮ কেজি গাজাঁসহ ২ গাজাঁ ব্যবসায়ী গ্রেফতার গাজীপুরের কা‌শিমপুরে দুর্গা পূজার প্রতীমা ভাংচু‌র করল দুর্বৃত্তরা কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ যে সীমান্তে প্রাণ গেছে ফেলানীর সেই সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর চাকরি পেলেন তার ছোটভাই প্রেমের ফাঁদে ফেলে কলেজ ছাত্র অপহরণের ঘটনায় দুই আসামিকে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর সুনামগঞ্জ পৌর শহরের উকিল পাড়া সড়কের বেহাল দশা চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে মদ তৈরির উপকরণ উদ্ধার ভূরুঙ্গামারীতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও সহকারী শিক্ষক নিয়ামুল আরিফ গ্রেফতার নিয়ামতপুরে শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত দুমকীতে স্কুলপথে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

আলোর বাতিঘর ফরিদ উদ্দিন গেলেন অবসরে

মো:মামুন বিশ্বাস
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৬১ বার পড়া হয়েছে
মোহা: ফরিদ উদ্দিন (৬০)। নবাব সিরাজ উদ্দৌলা কলেজের অধ্যক্ষ। অসংখ্য শিক্ষার্থীর শিক্ষক। মানুষ গড়ার কারিগর তিনি। আজকে অবসরে গেলেন।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের আমকাঁঠালিয়া গ্রামের মৃত আলহাজ্ব মকছেদ আলীর ছেলে মোহা: ফরিদ উদ্দিন। ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে একদিন শিক্ষক হবেন। সমাজের অবহেলিত,পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করবেন। হাঁটছিলেনও সে পথেই। শিক্ষাজীবন শেষ করে সে মোতাবেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ভাইভাতে অংশ নেননি।
উত্তরা ব্যাংক লিঃ এর অফিসার পদে চাকুরী হলেও জন্মস্থান এলাকা ছাড়বেন না তাই তিনি যোগ দেননি।
১৯৯২ সালে উপজেলার বলিদাপাড়া বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা পেলে তিনি প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। এক বছর চাকুরী করার পর বৈচিত্রে বিশ্বাসী ফরিদ উদ্দীন চাকুরী থেকে ইস্তফা দেন।
১৯৯৩ সালে ফরিদ উদ্দিন উপজেলার হালসা আদর্শ কলেজে অর্থনীতির প্রভাষক হিসাবে যোগদেন। একই সাথে নিজ এলাকায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠায় সকল শ্রেণী পেশার নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় চলতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০০০ সালে ফরিদ উদ্দিনকে অধ্যক্ষ করে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের পাশেই মিরপুর উপজেলাস্থ বারুইপাড়া ইউনিয়নের জিকের পরিত্যাক্ত জমিতে গড়ে তোলা হয় ” নবাব সিরাজ উদ্দৌলা কলেজ।
নন এমপিও নবাব সিরাজ উদ্দৌলা কলেজের অধ্যক্ষ ও এমপিওভুক্ত হালসা আদর্শ কলেজের প্রভাষক হিসাবে চলতে থাকে ফরিদ উদ্দিনের ব্যাস্ততা।
এক পর্যায়ে নবাব কলেজ এমপিওভুক্ত হবে এমন আশ্বাসে এমপিওভুক্ত হালসা কলেজ থেকে ২০০৪ সালে ১১ বছরের শিক্ষকতাকে ইস্তফা দিয়ে চলে আসেন।
সে আশায় গুড়েবালী হয়। নবাব কলেজ এমপিওভুক্ত হবে হচ্ছে করে সময় গড়াতে থাকে।
বিএনপি,তত্বাবধায়ক, আওয়ামীলীগের পর আবার দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামীলীগ ক্ষমতাসীন হলেও কেউ কথা না রাখায় অব্যাহত ভাল ফলাফল করেও প্রতিষ্ঠার প্রায় দীর্ঘ দুই দশক পর নবাব সিরাজ উদ্দৌলা কলেজ এমপিওভুক্ত হয়।
এই কলেজে অধ্যায়ন করে অসংখ্য শিক্ষার্থী ভাল ফলাফল নিয়ে পাশ করে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। অথচ সেই কলেজটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় মানুষ গড়ার কারিগর অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীনসহ ২৪ জন শিক্ষক কর্মচারী দীর্ঘ ২১ বছর ধরে বেতনহীন চরম মানবেতর জীবন যাপন করেন। সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে দেড় বছর আগে এমপিও ভুক্তি হয় এ কলেজটির। তবে এতদিনে তিনিসহ সকল শিক্ষক কর্মচারীদের মনোবাসনা পুরন হয়।
তাঁর অবসরের দেড় বছর আগ থেকে নবাব সিরাজ উদ্দৌলা কলেজ’র এমপিওভুক্ত হওয়ায় তিনি অন্তত অন্যসকল শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকলো। এ যেন ‘শেষ ভালো যার,সব ভালো তার’ মহান এই বাক্যটি প্রতিফলিত হলো ফরিদ উদ্দিনের জীবনে।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com