ধানের এলাকা বললেই মনে পড়ে নওগাঁ। যে খানে অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল বিশেষ করে কৃষির অনান্য আবাদের চেয়ে ধানের উপর বেশী গুরুত্ব দেয়।এখন নওগাঁর মাঠের দিকে তাকালে মনে হয় যেন মাঠের মধ্যে সোনা বিছানো আছে।কৃষকের মনে এখন আনন্দ। নওগাঁর নিয়ামতপুরে বর্তমানে ধান কাটা মাড়ার উৎসব চলছে।এবার ধানের আবাদ ও খুবই ভালে হয়েছে।কৃষক আঃ রশিদ ”দৈনিক বর্তমানকে” বলেন,এবার কৃষকরা ভালো ফলন প্রত্যাশি যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে।কৃষক আঃ রশিদ আরো বলেন বছরে দুটি আমাদের ধানের আবাদ যা আমাদের এক বছরের সাংসারিক ব্যয় বাবদ বাজেট করতে হয় যদি আমাদের আবাদের কোন ক্ষতি হয় তাহলে সাংসারিক ব্যয় করতে অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়।
এখন ধান কাটা ও মাড়ার মৌসুম চলছে যদিও তাপ দাহে কৃষকদের ধান কাটতে অনেক কষ্ট হচ্ছে কিনতু তার পরও কৃষকরা আনন্দে মুখরিত হয়ে গানের মূর্ছনায় ধান কেটে যাচ্ছে।কৃষকদের মনে আনন্দ এই কারনে যে এই ধান কৃষকের অনেক স্বপ্ন।এ কৃষকরা বাংলাদেশের একমাত্র নিবেদিত প্রান যারা রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে সোনালি ধান উপহার দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমাদের কেউ দাম দিতে চায়না।আজ অনান্য চাকুরীজিবিরা তাদের জোট করলে সরকার বাহাদুর তা মেনে নেয়।আমার দুঃখ ভরা ক্লান্ত মন নিয়ে বলতে হচ্ছে আমরা কৃষকের কোন জোট নেয় তারা চায় বাংলার প্রতিটি মানুষ যেন দুমুঠো ভাত খেয়ে বাঁচাতে পারে যেহেতু ডাল ভাতে আমরা বাঙ্গালী। আমার একটাই বলা সরকার বাহাদুর আমাদের এ কৃষক কে যেন সু-নজর দেয় তাহলে বাংলাদেশ হবে সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ। একটাই স্লোগান হওয়া দরকার——-
”কৃষক বাঁচলে,বাঁচবে দেশ
তবে হবে সোনার বাংলাদেশ।”