লালমনিরহাট জেলাধীন হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের মধ্য কাদমা এলাকায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাট এর ঘটনা ঘটেছে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী হাতিবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার উপজেলার মধ্য কাদমা এলাকার মৃত- আব্দুর রহমানের পুত্র মোঃ আব্দুল জব্বার মিয়া’র (৮২) বসত বাড়িতে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে আফতাব হোসেন নয়ন (৩৪) পিতা মৃত রহমত আলী, আলী হোসেন (৪২) পিতা, মৃত রহমত আলী ও দুলাল (৫১) ওরফে লম্বু দুলালসহ ৪০/৫০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল ছুড়ি, রামদা, কোদাল, বাঁশের লাঠিসহ হঠাৎ আক্রমণ করে। বাসায় লোকজনকে অবরুদ্ধ করে রাখে। বিবাদীগন গালিগালাজ করতে থাকে ‘বাহিরে বের হলে আজ তোদের লাশ ফেলে দেব’।
আব্দুল জব্বার আরো জানায়, আমার বাড়ীর পাশে লাগানো দামী গাছগাছালি উপড়ে ফেলে। এতে আমার প্রায় ৫ লক্ষ টাকার গাছ নষ্ট হয়। আরো প্রায় ২ লক্ষ টাকার গাছ কেটে নিয়ে যায়। মাছ চাষের জমির ক্ষতি সাধন করে। ইতিপূর্বেও তারা সন্ত্রাসী কায়দায় আমার জমির ধান কেটে নিয়ে যায়। আব্দুল জব্বার কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলেন- আমি নিজে একজন পুলিশের হাবিলদার ছিলাম। আমার এক ছেলে পুলিশের এসআই এবং অন্য ছেলে পুলিশের এএসআই, আরেক ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত। পুলিশ পরিবারের সদস্য হয়ে আমি বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করছি- আমি বয়স্ক বৃদ্ধ হওয়ায়, আমার ছেলেরা বাইরে চাকরি করার সুযোগে একটি সন্ত্রাসী কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন যাবত আমাকে আমার বসত ভিটায় বিভিন্ন নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে আমাকে ধ্বংস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। বিবাদীরা সকলেই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
অভিযোগের বিষয়ে হাতিবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মোহন্ত বলেন, এসংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।