চায়ের শহর সিলেটে বোলিংয়ে শুরুটা খারাপ হয়নি বাংলাদেশের। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লঙ্কান ব্যাটারদের সামনে ধার হারিয়েছেন টাইগার বোলাররা। অন্যদিকে প্রথমে দেখে খেললেও মেন্ডিস-সামারাবিক্রমাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ গড়ে সফরকারীরা। সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে চাপে পড়লেও এক সময়ের ব্রাত্য মাহমুদউল্লাহ আর অভিষিক্ত জাকেরের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দুইশ ছাড়ানো লক্ষ্যকেও মামুলি বানিয়ে জয় তুলে নেওয়ার কাছে চলে যায় বাংলাদেশ।
তবে শেষে তীরে এসে তরী ডোবার মতোই অবস্থা হয়েছে বাংলাদেশের। তিন রানের হারের ফলে জয় দিয়ে নতুন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত যুগে প্রবেশ করতে পারল না বাংলাদেশ।
২০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের তৃতীয় বলেই লিটন দাস কোনো রান না করে ফিরেন।
আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও কিছু করতে পারেননি। ১১ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। চারে নেমে ছক্কা দিয়ে ইনিংস শুরু করেছিলেন সদ্য শেষ হওয়া বিপিএল মাতানো তাওহিদ হৃদয়। তবে তার ব্যাট থেকে ৮ রানের বেশি আসেনি।
টাইগারদের দলপতি শান্ত এদিন ছিলেন খাপছাড়া। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ২০ রান।
৬৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর জাকেরকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ১৮ মাস পর দলে এসে পেয়েছেন ফিফটির দেখা। মাত্র ২৭ বলে ফিফটি করেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৫৪ রান করেই ফিরতে হয় এই অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটারকে।
মাহমুদউল্লাহ ফেরার পর জাকের বোঝান তিনি কেন বারবার জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ছিলেন। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে তিনি নিয়ে যান জয়ের কাছাকাছি। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২৫ বলে স্পর্শ করেন অভিষেক ম্যাচেই ব্যক্তিগত ফিফটি। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ বলে ৬৮ রান।
জাকের আউটের পর শেষ তিন বলে জয়ের জন্য ১০ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় বাংলাদেশের। চতুর্থ বলে চার মারেন শরিফুল। তবে শেষ দুই বলে এক রান করে আসে যার ফলে দারুন এক জয় থেকে বঞ্চিত হলো বাংলাদেশ।(সূত্র;কালবেলা)