চকবাজার থানার মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় আমিনুল ইসলাম আমিন—সভাপতি ২৩ নম্বর ওয়ার্ড লালবাগ থানা বিএনপি, আরমান আহমেদ—সাবেক সভাপতি চকবাজার থানা ছাত্রদল, নাজিমউদ্দিন নাজু খান—সাবেক সদস্য সচিব চকবাজার থানা যুবদল, মইন—২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য এবং লিটন—২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম এবং সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
আজ এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, “৭ জানুয়ারী ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে জোর জবরদস্তিমূলকভাবে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এখন আরও বেশী মাত্রায় বেপরোয়া. কতৃর্ত্ববাদী ও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দল এবং ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নানান কায়দায় দমন—পীড়ণ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার সরকার। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে গোটা দেশটাকে এক জুলুমের নগরীতে পরিণত করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উল্লিখিত নেতৃবৃন্দের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা আওয়ামী জুলুমের আরেকটি নির্মম বহিঃপ্রকাশ। বর্তমানে দেশে আইনের শাসন ও সুশাসন নেই বলেই গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণরত নেতাকর্মীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশে এক সর্বগ্রাসী অরাজকতা বিদ্যমান রয়েছে। দুঃশাসন প্রলম্বিত করার জন্যই শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এসব অপকর্মের মাধ্যমে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে পারবে না কতৃর্ত্ববাদী ফ্যাসিষ্ট সরকার।”
নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে উল্লিখিত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট ও হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানান।