নৌকা বাইচ এ দেশে হাজার বছরের ঐতিহ্য। আবার কোথাও শত বছরের ঐতিহ্য। এলাকা ভেদে বিভিন্ন ধরনের নৌকা রয়েছে। এসব নৌকার রয়েছে বাহারি নাম। যেমন ঢাকা, মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ এলাকায় ঘাসী নৌকার প্রচলন। আবার শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর এলাকায় বাচারী নৌকার প্রচলন। এছাড়া ঢাঙ্গাইল, ভৈরব, বি- বারিয়া ও কিশোর এলাকায় গজারী খেলনা এবং সিরাজগঞ্জ, পাবনা এলাকায় পানসী ও শিপ নৌকার প্রচলন।
ঢাকা, মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ এলাকায় নক আউট পদ্ধতিতে ২টি করে নৌকার মধ্যে টান হয়। অন্যান্য জেলায় কয়েকদিন ব্যাপী নৌকা বাইচ হয়।
ক্রিকেট ফুটবলের মতো এ, বি, সি,…. গ্রুপে ৩টি, ৫টি করে নৌকার ভাগ করা হয়। এরপর ৩টি করে নৌকা টান ছাড়ে। একই গ্রপের নৌকার মধ্যে ৩ বার করে টান হয়।
গত শনিবার মাদারীপুরে শিবচরে বাচারী নৌকার বাইচ হয়। বাইচে ১০টি নৌকা অংশ গ্রহণ করে। বাইচ পরিচালনা কমিটি ১ম তিনটি নৌকা A গ্রুপ, ২য় ৩টি নৌকা B গ্রুপ, পরের ৪টি নৌকা c গ্রুপে ভাগ করে। A গ্রুপের ৩টি নৌকার টান একসঙ্গে ছাড়ে এবং ৩ বার করে প্রতিটি নৌকা টান দেয়। এভাবে প্রতিটি গ্রুপ থেকে ১ টি করে চ্যাম্পিয়ন নৌকা বেড় করে। পরে তিন গ্রপের ৩ চ্যাম্পিয়ন নৌকার টান হয়।
গত রোববার মাদারীপুরের শিবচরে নৌকা বাইচ হয়েছে। ওই বাইচে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সোনার তরী নৌকা। নৌকার মালিক উজ্জ্বল তালুকদার বলেন, বাইচে ১০টি নৌকা অংশ গ্রহণ করে। ৩টি করে নৌকায় ভাগ করে এ, বি, সি গ্রুপে বিভক্ত করে। এরপর প্রতিটি গ্রুপে তিনটি করে টান দিয়ে প্রতিটি গ্রুপ থেকে ১টি করে বিজয়ী নৌকা বের করেছে। পরে তিন গ্রপের তিন নৌকার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন টান দেয়। এতে সেনার তরী চ্যাম্পিয়ন হয়। পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয় একটি বড় ফ্রিজ।
লেখকঃ রাশিম মোল্লা – সাধারণ সম্পাদক
নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটি