বিপিএলের এবারের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকার কাছে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দ্বিতীয় দেখায় রাজধানীর দলটিতে উড়িয়ে দিয়ে প্রতিশোধ নিলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচে জয়ের অন্যতম নায়ক তৌহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করে ঢাকাকে ৪ চার উইকেটে হারিয়েছে কোচ সালাউদ্দিনের শিষ্যরা।
শুক্রবার (৯ জানুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লাকে ১৭৬ রানের বড় লক্ষ্য দেয় দুর্দান্ত ঢাকা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ বল এবং চার উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় লিটন-হৃদয়রা।বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় কুমিল্লা। ১৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৫ বলে ৮ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে কাঁটা পড়লে, ৯ রান করে রান আউট হন উইল জ্যাক। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ইমরুল কায়েসও। ৩ বলে ১ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
কিন্তু চতুর্থ উইকেটে ডেভিড গেস্টকে সঙ্গে নিয়ে কুমিল্লা শিবিরে হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে ছুটতে থাকে কুমিল্লা। ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন হৃদয়। এরপর ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ৩৫ বলে ৩৪ রান করে গেস্ট আউট হলে রানের গতি কিছুটা থেকে যায় কুমিল্লার।রায়মোন রাইফার ৪ বলে ৬ রান আউট হলে, এক প্রান্ত আগলে রেখে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মেরে রান তুলতে থাকেন তাওহীদ হৃদয়। শেষ তিন ওভারে কুমিল্লার জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩১ রান।
১৮তম ওভারে শরিফুলকে সামালকে দিয়ে ১৫ রান তুলে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেই হৃদয়। সেই সঙ্গে ৫৩ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন এই টাইগার ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত তার ৫৭ বলে হার নামা ১০৮ রানের ইনিংসে ভর করে ১ বল এবং চার উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। এ ছাড়াও আরাফাত সানি ও ডি সিলভা একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে চতুরাঙ্গা ডি সিলভাকে সঙ্গে নিয়ে ভালো শুরু এনে দেন নাঈম শেখ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি ডি সিলভা। ১৩ বলে ১৪ রান করে ক্যাচ আউট হন এই লঙ্কান ব্যাটার।তবে সাইফ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন নাঈম। ৩১ বলে নিজেরে ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সাইফ। ৩৯ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন সাইফও।দুজনের ব্যাটিং নৈপুণ্যে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে রাজধানীর দলটি। ৪২ বলে ৫৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাইফ হাসান। ম্যাথিউ ফোর্ডকে উড়িয়ে মারতে তি গিয়ে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার।
একই ওভারে আউট হন নাঈম শেখও। ফোর্ডকে উইকেটরক্ষক লিটনের মাথার উপর নিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সরাসরি ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্পে আঘাত করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪৫ বলে ৬৪ রান করেন তিনি।এরপর ডাক আউট হন অ্যানড্র ম্যাককাথি। শেষ দিকে মেহরাবকে সঙ্গে নিয়ে রান তোলার চেষ্টা করেন অ্যালেক্স রোস। মেহরাবের ১২ রান এবং রোসের ১১ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ১৭৫ রানের বড় পুঁজি পায় দুর্দন্ত ঢাকা।কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে তিন উইকেট শিকার করেন ম্যাথিউ ফোর্ড। এ ছাড়াও এক উইকেট শিকার করেন আলিস আল ইসলাম।