অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্য নিয়ে ভালোভাবেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দল। সুপার সিক্সে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ বুধবার নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে একধাপ এগিয়ে গেলো টাইগার জুনিয়ররা।
ব্লুমফন্টেইনের মাঙ্গুয়াঙ ওভালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নেপাল যুব ক্রিকেট দল অলআউট হয় ১৬৯ রানে। জবাব দিতে নেমে জিসান আলম এবং আরিফুল ইসলামের ব্যাটে চড়ে ১৪৮ বল হাতে রেখে ২৫.২ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
রান তাড়া করতে নেমে এদিন ঝড়ো শুরু করেন জিসান আলম। মাত্র ৪৩ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অন্যপ্রান্তে ৩৪ বলে ১৬ করে আউট হন আশিকুর রহমান শিবলি। চৌধুরী মো রিজওয়ান করেন ১৫ রান।
আহরার আমিন ১২ ও শিহাব জেমস ০ রানে সাজঘরে ফিরলেও দলকে সহজ জয় এনে দেন আরিফুল ইসলাম ও শেখ পারভেজ জীবন। যেখানে অর্ধশতকের দেখা পান আরিফুল। শেষ পর্যন্ত তিনি ৫৯ ও জীবন ৫ রানে অপরাজিত থাকেন।এদিন জটিল সমীকরণ মাথায় নিয়ে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসে হেরে আগে বোলিংয়ে নামে বাংলাদেশ। পাওয়ার
প্লে-তেই মাহফুজ রাব্বির দল দ্রুত সাফল্য পায়। প্রথম ১০ ওভারে ৩৫ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে নেপাল। যার শুরুটা করেছিলেন মারুফ মৃধা।
বাঁ-হাতি এই পেসারের ডেলিভারিতে নেপাল ১৮ রানে ওপেনার বিপিন রাওয়ালকে হারায়। ওয়ানডাউনে নামা আকাশ ত্রিপাঠিও বলার মতো কিছু করতে পারেননি। নেপালের চাপ বাড়িয়ে ইকবাল হোসেন ইমনের বলে তিনি ফেরেন মাত্র ৩ রানে।
শুরুর ধাক্কা আরও তীব্র হয় আরেক ওপেনার অর্জুন কামালের বিদায়ে। বর্ষণের বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে তার ব্যাটে আসে ১৪ রান। এমন চাপের মুখে নেপালকে সামনে টেনে নিয়ে যাওয়ার কাজটা করেন অধিনায়ক দেভ খানাল ও বিশাল বিক্রম।
মিডল অর্ডারের এই জুটিতে আসে ৬২ রান। দেভকে ব্যক্তিগত ৩৫ রানে ফিরিয়ে টাইগারদের ব্রেকথ্রু এনে দেন অনিয়মিত স্পিনার জিসান আলম। এরপর যাওয়া- আসার মিছিলে যোগ দিয়েছেন গুলশান ঝা, দীপক বোহারা ও দিপেশ ক্যান্ডেল।
তারা তিনজনই করেছেন সমান ৩ রান করে। ফলে একপ্রান্ত আগলে রাখা বিক্রমও আর দম ধরে রাখতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৪৮ রানে থাকাবস্থায় তাকে বোল্ড করে দেন বর্ষণ। ১০০ বলের ধীরগতির এই ইনিংসে তিনি ৬টি চার হাঁকিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা সুভাষ ভান্ডারির ১৮ রান বাদে বলার মতো আর কেউ রান করতে পারেনি নেপালের। এক বল বাকি থাকতেই তারা অলআউট হয় ১৬৯ রানে। বাংলাদেশের হয়ে মাত্র ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন বর্ষণ। শেখ পারভেজ জীবন নিয়েছেন ৩ উইকেট।