নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের জয়ন্তীপুর সামাজিক কবরস্থানে দাফনের সময় হারানো মোবাইল ফোন এক রাত পর কবর খুঁড়ে উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে। হারানো মোবাইলটি উদ্ধার করেছেন স্থানীয় যুবক সামিউল ইসলাম সামি, যার পিতার নাম শহিদুল ইসলাম।
ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার রাতে। জানাজা ও দাফনকাজে অংশ নিতে গিয়ে সামি তার হাতে থাকা Oppo মোবাইলের টর্চ অন করে কবর পর্যন্ত যান। দাফনের সময় টর্চ বন্ধ করে ফোনটি জ্যাকেটের পকেটে রাখেন। দাফন শেষে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন—ফোনটি নেই।
সারারাত ফোনে কল দিতে থাকায় কখনো রিং হচ্ছিল, আবার কখনো হচ্ছিল না। এতে সামি নিশ্চিত হন—ফোনটি কবরের মধ্যেই পড়ে আছে। পরের দিন, বুধবার সকালে, এলাকাবাসী ও কয়েকজন আলেমের পরামর্শে কবরের উপরের দিকের মাত্র এক হাত মাটি তুলে মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, দাফনের সময় কবরের ওপরে খাপ (খাপাচির) দিয়ে মাটি দেওয়ার কারণে মোবাইলটি গভীরে না গিয়ে কবরের উপরের অংশে অবস্থান করেছিল।
ঘটনার ভিডিও ও ছবি সামিউল ইসলাম সামির নিজ ফেসবুক আইডি থেকে সংগৃহীত। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
সামিউল ইসলাম সামি বলেন,“আমি পুরো রাত নিশ্চিত ছিলাম ফোনটা কবরেই পড়ে আছে। কেউ যদি পেত, নিশ্চয়ই অফ করে দিত বা সিম খুলে ফেলত। আলহামদুল্লাহ, পরের দিন সকালে কবর খুঁড়ে ফোনটি পেয়ে আমি খুব স্বস্তি পেলাম।”
জয়ন্তীপুর বাজার জামে মসজিদের ইমাম আব্দুর রউফ বলেন,“ফোনটি কবরের উপরের অংশে থাকায় সহজে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সাধারণত দাফনের সময় কবরের ওপরে খাপাচি দিয়ে মাটি দেওয়া হয়। মোবাইলটি সেই খাপের উপরের দিকে থাকার কারণে গভীরে না গিয়ে উপরের অংশে অবস্থান করেছে। এমন ঘটনা সত্যিই বিরল এবং আশ্চর্যজনক। আল্লাহর রহমতে এটি সবাইকে শিক্ষা ও স্বস্তি বয়ে এনেছে।”
স্থানীয় প্রতিবেশী মুসা আলম বলেন,
“এমন ঘটনা আমরা আগে কখনো দেখিনি। কবর থেকে মোবাইল বের হওয়া সত্যিই বিস্ময়কর। সামি খুব খুশি হয়েছে এবং আমরা সবাইও অবাক।”