মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ডিসপ্লেতে পুলিশ প্রশাসনের নেতিবাচক উপস্থাপনের জেরে সেটি বয়কট করে চলে যান স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও জুড়ী কলেজ মাঠে উপজেলা প্রশাসন বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস, স্কাউটস, গার্লস ইন গাইড, কাবসহ বিভিন্ন শিশু-কিশোর সংগঠনের কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শনীর আয়োজন করে। সেখানে যৌন হয়রানি ও এসিডবিরোধী একটি ডিসপ্লে উপস্থাপন করে পশ্চিম বড় ধামাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর দৃশ্যায়নে দেখানো হয়– স্থানীয় এক বখাটে একটি মেয়েকে এসিড ছুড়ে মারে। এ ঘটনার বিচার চাইতে মেয়েটির বাবা যান থানায়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেয়েটির বাবার কাছে ঘুষ দাবি করে। টাকা না থাকায় ওই বাবাকে লাথি মেরে বের করে দেয় ওসি।
ডিসপ্লেতে পুলিশ প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা এমন নেতিবাচক দৃশ্য উপস্থাপন করায় অনুষ্ঠান বয়কট করে সেখান থেকে চলে যান জুড়ী থানার ওসি এস এম মাইন উদ্দিন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগের আগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এক সহকারী শিক্ষককে উপস্থিত লোকজনের সামনেই শাসান ওসি মাইন উদ্দিন। এ সময় ইউএনও এবং জনপ্রতিনিধিরা তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা চালান। এ ঘটনার জেরে অনুষ্ঠান-পরবর্তী কুচকাওয়াজ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন না ওসি মাইন উদ্দিন। সেখানে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন থানার পরিদর্শক হুমায়ুন কবির।
এ ব্যাপারে পশ্চিম বড় ধামাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিক বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, তাঁর শিক্ষার্থীরা পাকিস্তান আমলের একটি ডিসপ্লে উপস্থাপন করেছে।
জুড়ী থানার ওসি এস এম মাইন উদ্দিন জানান, অনুষ্ঠানের কোনো ঘটনায় নয় বরং ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন। এ বিষয়ে কথা বলতে ইউএনও লুসিকান্ত হাজংয়ের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।