রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনার ধারণাপত্র উপস্থাপন করেছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান শেলটেক। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স কক্ষে রাবি উপাচার্যের নিকট তারা ৫ বছর মেয়াদি এই কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন, আবাসিক হল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের আধুনিকায়ন ও নির্মাণের যাবতীয় কর্মপরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা।
আলোচ্য উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশ হবে প্রশাসন ভবন, বঙ্গবন্ধু চত্বর, জুবেরি ভবন, ৪০ শয্যাবিশিষ্ট চিকিৎসা কেন্দ্র। এছাড়া নতুন কলা, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল ভবন, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ অ্যাকাডেমিক ভবন, মমতাজ উদ্দীন অ্যাকাডেমিক ভবন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন ভবন, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, শেখ লুৎফর রহমান অ্যাডভান্সড রিসার্চ সেন্টার অ্যান্ড ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলোজি ভবন এবং ভেটেরিনারি অ্যান্ড ফুড সায়েন্স ভবন নির্মাণ।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় জিমনেশিয়াম, ছাত্রী জিমেনেশিয়াম, কেন্দ্রীয় মার্কেট, ট্রান্সপোর্ট কমপ্লেক্স, ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য আবাসিক হল, ১২০০ শিক্ষার্থীর জন্য শেরে বাংলা ফজলুল হক হল নির্মাণ এই অবকাঠামোর আওতায় থাকবে।
পরিকল্পনা উপস্থাপনকালে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, একুশ শতকের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার চাহিদা মেটাতে রাজশাহীবিশ্ববিদ্যালয়কে যুগোপযোগীভাবে গড়ে তোলা অনিবার্য। সেই লক্ষ্যে এই উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। উপাচার্য এই পরিকল্পনায় শেখ কামাল ইনকিউবেশন সেন্টার, রাকসু ভবন, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সুইমিংপুল অন্তর্ভুক্ত করারও পরামর্শ দেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক
সুলতান-উল-ইসলাম, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার শাহরিয়ার রহমান ও ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মশিউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শেলটেকের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম ও সহকারী ব্যবস্থাপক আতিকুর রহমান এবং সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।