রবিবার বিকেলে কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় ট্রাইব্রেকারে ৭-৬ গোলে গন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ একাদশ বিজয়ী হয়।গত ৩ জুলাই সান্দিকোনা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ খেলা শুরু হয়েছিল। শুরুর দিন সান্দিকোনা ইউনিয়ন বনাম আশুজিয়া ইউনিয়নের খেলায় ৪-০ গোলে বিজয়ী হয়েছিল সান্দিকোনা একাদশ।
শনিবার একই মাঠে গন্ডা ইউনিয়ন একাদশ বনাম পৌরসভা একাদশের খেলায় খেলোয়ারদের মাঝে বিশৃংখলা দেখা দেয়। অভিযোগ উঠে পৌরসভা একাদশের জনৈক খেলোয়ার গন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের এক খেলোয়ারের গায়ে হাত তুলেন। খেলায় তারা পরাজিত হলে সান্দিকোনা ইউনিয়ন বনাম গন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ একাদশ চূড়ান্ত খেলার অবস্থানে যায়। কিন্তু খেলা আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ উপজেলা প্রশাসন রাতেই জরুরী সভায় বসেন।
ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার।সভায় খেলার মাঠে বিশৃংখলা এড়াতে সান্দিকোনা স্কুল এন্ড কলেজের মাঠ পরিবর্তন করে আশুজিয়া ইউনিয়নের জয়নাথ করোনেশান ইনস্ট্রিটিউট খেলার মাঠে স্থান নির্ধারণ করা হয়। রবিবার বিকেল ৩ টার দিকে এ মাঠে দুই দলের খেলোয়ারা উপস্থিত হয়ে মাঠটি কাদা পানিতে ভরা থাকায় খেলার উপযোগী নয় দাবী করেন।
এরই প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিক ভাবে ঐ খেলার মাঠ পরিবর্তন করে মাসকা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে খেলার স্থান নির্ধারন করেন ইউএনও। বিকেল সাড়ে ৫ টায় ওই মাঠে জাতীয় সংগীতের সুরে সুরে খেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মোফাজ্জল হোসেন ভূঞা।পরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, শান্তিপূর্ণ খেলার জন্যে দুটি মাঠ পরিবর্তন করে আমরা এই মাঠে এসেছি।
সব বিশৃংখলা দূরে ঠেলে দিয়ে শান্তিপূর্ণ একটি খেলা দেখার জন্য সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। মাঠের চারপাশে ফুটবল প্রেমীদের ছিল উপচে পড়া ভীড়। গাছের ডালে ও দালানের ছাদে বসেও শান্তিপূর্ণ খেলা দেখেছেন অনেকেই। শান্তিপূর্ণ খেলা অনুষ্ঠানের জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সভাপতি ও প্রধান অতিথি বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন।