শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার (১২নং ওয়ার্ড) মনির উদ্দিন পাটোয়ারী বাড়িতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী মো. সাব্বিরের স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।এ্যানি বলেন, ‘আমরা এ মুহূর্ত্বে সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার জন্য অনুরোধ করছি। এ সরকারকে সহায়তা করা এখন আমাদের কাজ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যতোগুলো হত্যাকাণ্ড হয়েছে, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে।সেইজন্য আমরা পাড়া-মহল্লায় সবার প্রতি আহ্বান করছি।’এর-আগে এ্যানি চৌধুরী জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ সাব্বিরের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ, সাহাব উদ্দিন সাবু, অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমানসহ অনেকে।পরে তিনি সাব্বিরের বাবা আমির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে তার মা মায়া আক্তার, স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে তাদের সান্তনা দেন।
এ সময় তিনি নগদ ২০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে জেলা বিএনপি তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন এ্যানি চৌধুরী।নিহত শিক্ষার্থী সাব্বিরের শিশুপুত্র তাহসিনকে কোলে নিয়ে আদর করতে দেখা যায় এ্যানিকে।নিহত শিক্ষার্থী সাব্বিরের পরিবারের পক্ষ থেকে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী ট্রাফিক চত্বরকে ‘শহীদ সাব্বির চত্বর’ নামকরণ করার জন্য দাবি তোলেন। তখন জবাবে এ্যানি বলছেন, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের আলাপ হলে আপনাদের এ প্রস্তাবনার কথা আমরা তুলে ধরবো।
নিহত শিক্ষার্থী সাব্বির লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের চৌধুরী মাঝি বাড়ির মো. আমির হোসেনের ছেলে। তিনি তার নানাবাড়ি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার (১২নং ওয়ার্ড) মনির উদ্দিন পাটোয়ারী বাড়িতে থাকতেন। নিহত সাব্বির দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাব্বিরসহ চার শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। একইদিন দুর্বৃত্তের নিষ্ঠুর হামলার শিকার হয়ে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের ৮ নেতাকর্মী নিহত হন। ওইদিন গুলিবিদ্ধসহ বিভিন্নভাবে আহত হন শতাধিক।