1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁয় দাবী বাস্তবায়নে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সরিষাবাড়ীতে আলোচনা সভা সাঘাটায় শহীদ সাজ্জাদ ও আবু সাঈদ স্মরণে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত সংস্কারের অভাবে ধান ক্ষেতের মাটিতে মিশে গেছে রাস্তা \ চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকো নির্মান নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন বিশ্ব শিক্ষক দিবসে চায় না আর এমপিও শিক্ষক,আর নন এমপিও শিক্ষক ফরিদপুরে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার প্রতিবাদে মানববন্ধন হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বদলগাছীতে বিক্ষোভ সমাবেশ জমকালো আয়োজনে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিলো রাবি পাঠক ফোরাম সাঘাটা ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি সেলিম আহম্মেদ তুলিপ কে সংবর্ধনা ও পরিচিতি সভা

কেন্দুয়ায় প্রণোদনার বীজ ধান বিক্রি করছেন কৃষক

শামীম আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি, নেত্রকোনা ৩
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে
প্রণোদনার বীজ ধান বিক্রি করছেন কৃষক

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিনামূল্যে বিতরণ করা উফশী প্রণোদনার বীজ ও সার প্রকাশ্যে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।

তালিকাভুক্ত অধিকাংশ নামধারী কৃষক তাদের নামে বরাদ্দকৃত বীজ ও সার অবাধে ডিলারদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে একদিকে যেমন ব্যাহত হচ্ছে সরকারের উদ্দেশ্য অপরদিকে তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন অনেক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কেন্দুয়া উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে মোট ৫ হাজার ৩০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বোরো ধান উফশী প্রণোদনা বিতরণ করা হচ্ছে ৩-৪ দিন ধরে।

বিতরণ করা প্রণোদনার মধ্যে রয়েছে ৫ কেজি বীজ ধান, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার। এসব বীজ সার কৃষি বিভাগ থেকে সংগ্রহ করে প্রকাশ্যেই প্রতিজন নামধারী কৃষক তাদের নামে বরাদ্দ সার ও বীজ ৪৭০ থেকে ৪৮০ ও ৪৯০ টাকায় বিক্রি করে দিচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এই ৫ কেজি বীজ ধান দিয়েই অন্তত পক্ষে ২৫ মন ধান উৎপাদন করা যেত যদি তারা চাষ করতেন।

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ২ সপ্তাহ আগে উফশী প্রণোদনা বিতরণের জন্য বরাদ্দ আসে। এরপর উপজেলা কমিটির মাধ্যমে বিভাজন করে ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের তালিকা তৈরির জন্য পাঠানো হয়। তারা তালিকা তৈরি করে পাঠানোর পর উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সার ও বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, স্বজনপ্রীতির কারণে ওই তালিকা থেকে অনেক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের নাম বাদ পড়েছে। দলপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃশাহিন মিয়া বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সংখ্যা পাওয়ার পর সব ইউপি সদস্য ও তিনটি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাদের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের তালিকা তৈরির জন্য দেওয়া হয়। আমরা সবাই মিলেই ওই তালিকা করে ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত তালিকা উপজেলা কৃষি বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন সুলতানা বলেন, তালিকা তৈরি করেছে পৌরসভা ও ইউনিয়ন কমিটি। সেই তালিকা মোতাবেক প্রত্যেক কৃষকের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, এক কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি, মোবাইল নম্বর ও মাস্টাররোলে স্বাক্ষর গ্রহণ করে প্রত্যেককে ৫ কেজি বীজ ধান, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বিতরণকালে আমি পরিদর্শনে গিয়ে দেখি ডিলারের কাছে প্রণোদনার বীজ সার বিক্রি করা হচ্ছে। তখন এ ঘটনা দেখতে পেয়ে একজনের বীজ সার জব্দ করেছি। তাছাড়া যদি কোনো প্রকৃত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক তালিকা থেকে বাদ পড়ে থাকেন তাহলে পরবর্তী সময়ে প্রণোদনা এলে সেই কৃষকের তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। একজন ডিলার বলেন, প্রতিজন কৃষক আমার কাছে স্লিপ নিয়ে আসছেন আমি ৪৮০ বা ৪৯০ টাকা দিয়ে ৫ কেজি বীজ ধান ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার কিনে রাখছি।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com