রাজশাহীতে স্কুল ছাত্রী (এসএসসি পরীক্ষার্থী) মেয়েকে উত্তক্তের প্রতিবাদ করায় ছাত্রীর বাবা আকরাম হোসেনকে হত্যা মামলার প্রধান দু’জন আসামী নান্টু (২৮) ও খোকন মিয়া (২৮) কে মামলা দায়েরের মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আটক করেছে র্যাবের চৌকস অভিযানিক টিম। শনিবার ১৯ এপ্রিল পূর্বরাত সোয়া ৮টারদিকে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার রামরায়পুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন র্যাব। আটককৃত নান্টু রাজশাহীর তালাইমারী শহিদ মিনার এলাকার কালু মিয়ার ছেলে ও তার সহযোগী খোকন মিয়া একই এলাকার মৃত আঃ সাত্তারের ছেলে।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, আকরাম হোসেন (৫২) পেশায় একজন বাস ড্রাইভার। তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী।
ঘটনার দিন বিকাল সারে ৪ টারদিকে তার মেয়ে প্রাইভেট পড়া শেষ করে তালাইমারী শহিদ মিনার এলাকায় অটোরিকশা থেকে নেমে বাসায় যাওয়ার পথে আসামী নান্টু ও তার সহযোগীরা তাকে উত্তক্ত করে। ঘটনাটি বাসায় গিয়ে সে তার বাবাকে জানালে ছাত্রীর বাবা মেয়েকে উত্তক্ত করার বিষয়টি নান্টুর বাবাকে জানায়। এতে নান্টু আরও ক্ষীপ্ত হয়ে গত ১৬ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে তালাইমারী শহিদ মিনার এলাকায় ছাত্রীর ভাই ইমাম হোসেন অনন্তকে
নান্টু ও তার সহযোগীরা পথরোধ করে এলোপাথারী মারধর করতে থাকলে তার ডাক-চিৎকারে শুনে ঘটনাস্থলে ছাত্রীর বাবা আকরাম হোসেন এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করার এক পর্যায়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক আকরাম হোসেনকে মৃত ঘোষনা করেন। এঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর র্যাব-৫, রাজশাহী সদর কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল লে. কর্ণেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ এর নির্দেশনায় অভিযান চালিয়ে তাদের দু’জনকে আটক করেন। র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।তাদেরকে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।