শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পালেরচর এলাকায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধ’র্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মতি খা(৪০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় মামলা করতে যাওয়ায় প্রবাসীর দুই ভাইকে কু’পিয়ে গুরুতর জখম করে মতি খা ও তার সহযোগীরা। আহতরা বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
গত শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে ধর্ষ’ণচেষ্টা ও বিকেলে হাম’লার ঘটনা ঘটে। হা’মলায় আ’হতরা হলেন- জাজিরা উপজেলার পালেরচর কাথুরিয়া দেওয়ান কান্দির গিয়াসউদ্দিন দেওয়ানের দুই ছেলে লালন দেওয়ান(৩৫) ও মিলন দেওয়ান(৪০)।
স্থানীয় ও পুলিশ এবং অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে প্রবাসী সোহেল দেওয়ানের স্ত্রী বাড়ীতে একা ছিলেন। সেসময় প্রতিবেশী মতি খা হঠাৎ বাড়ীতে ঢুকে তাকে ঝাপটে ধরে চুমু খায়। পরে তিনি ডাকচিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন চলে আসে ও স্থানীয় বাজারে থাকা ভুক্তভোগী গৃহবধূর শশুরও বাড়িতে চলে আসে। এসময় মতি খা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি নিয়ে ওইদিন বিকেলে থানায় অভিযোগ করতে যান ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও তার শশুর। সেসময় তাদের বসতবাড়িতে ছিল প্রবাসী সোহেল দেওয়ানের দুই ভাই লালন দেওয়ান ও মিলন দেওয়ান। ওইসময় মতি খা তার ভাই লতিফ খা ও তাদের আত্মীয় এমদাদ ফকিরের নেতৃত্বে একদল লোক চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অ’স্ত্র নিয়ে বাড়ীতে ঢুকে লালন ও মিলন দেওয়ানকে এলোপাথাড়ি কু’পিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে (পিঠ , মাথা, হাত ও পেটে) জ’খম করে রেখে যায়। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। তবে আহতদের অবস্থা আ’শঙ্কাজনক হওয়ায় ও তাদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় প্রেরণ করেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, মতি খা রিস্তা অনুযায়ী আমার মামা হয়। তিনি এমন কাজ করবেন তা ভাবনার বাইরে ছিল। আমি তার কঠিন বিচার চাই।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর শশুর ও হা’মলায় আহত লালন ও মিলনের বাবা গিয়াসউদ্দিন দেওয়ান বলেন, ‘‘মতি খা আমার পুত্রবধূর সাথে খারাপ আচরণ করেছে। সেজন্য আমরা থানায় অভিযোগ করতে যাই। এই কারনে মতি খা ও এমদাদ ফকির মিলে আমার দুই ছেলেকে বাড়ীতে ঢুকে এলোপাথাড়ি কু’পিয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’’
প্রত্যক্ষদর্শী ফয়জরি বেগম বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলের দিকে আমরা বাইরে বাতাসে বসে ছিলাম। হঠাৎ দেখি এমদাদ ফকির ও মতি খা লোকজন নিয়ে ধা’রালো অ’স্ত্রসহ গিয়াসউদ্দিন দেওয়ানের বাড়ীতে ঢোকে। আমরা বাঁধা দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু তারা আমাদের কথা না শুনে লালন আর মিলনকে এলোপাথাড়ি কু’পিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়।’
অভিযুক্ত মতি খার বাড়ীতে গিয়ে তাকে ও তার ভাই লতিফ খা কে পাওয়া যায়নি। তবে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোনটি কেটে দেন।
অভিযুক্ত এমদাদ ফকিরের সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘এখন আমি কথা বলতে পারবোনা। পরে কথা বলবো।’
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম বলেন, ধ’র্ষণচেষ্টা ও হা’মলার ঘটনায় একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।