প্রথম ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রেকর্ড ১৩৯ রানের জুটিতে ভর করে ফরচুন বরিশাল পায় ১৮৯ রানের বিশাল সংগ্রহ। রিয়াদ ব্যক্তিগত ৭৩ রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও সৌম্য শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৭৫ রানের অনবদ্য ইনিংসে। বরিশালের দেওয়া বড় টার্গেট টপকাতে নেমে দুর্দান্ত ঢাকার ইনিংস থামে ১৪৯ রানে। আর তাতেই ৪০ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে ঢাকা পর্ব শেষ করল তামিমের দল।
আজকের পরাজয় নিয়ে দুর্দান্ত ঢাকা পূর্ণ করল দুই হালি। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সাথে জয় পাওয়া দলটি এরপর থেকে হেরেছে টানা ম্যাচ। হারতে, হারতে ক্লান্ত ঢাকাকে আজ হারিয়ে সুপার ফোরের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল তামিম ইকবালের দল। বরিশালের এমন রোমাঞ্চকর জয়ের অন্যতম কারিগর রিয়াদ, সৌম্য।১৯০ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারান দুর্দান্ত ঢাকার ওপেনার সাব্বির হোসেন। আরও একবার এক অংকের ঘরে থেকেই বিদায় নিতে হল সাব্বিরকে। আগের দুই ম্যাচে ১ ও ৪ রান পাওয়া সাব্বির আজ অবশ্য করেছেন ৫ রান।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ নাইম আজ ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। ওবেদ ম্যাককয়ের প্রথম ওভারে ব্যক্তিগত ১ রানে জীবন পাওয়া নাইমের পতন ম্যাককয়ের বলেই। নিজের পরের ওভারে এসে নাইমকে ফিরিয়ে ক্যাচ মিস করা তাইজুলকে স্বস্তি উপহার দেন ম্যাককয়। দুই উইকেট হারানো ঢাকা ৪১ রান তুলে প্রথম পাওয়ার প্লে শেষ করে।বরিশালের তারকা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আজও জ্বলে ওঠলেন প্রথম ওভারেই। নিজের প্রথম ডেলিভারি করতে এসেই শিকার করেন সাইফ হাসানের উইকেট। ১২ রানে থাকা সাইফ শর্ট বলে পরাস্ত হয়ে ক্যাচ হন মুশফিকের গ্লাভসে। কেবল ১ রান খরচায় ১ উইকেট নিয়ে প্রথম ওভার শেষ করে যান সাইফউদ্দিন।
ধুঁকতে থাকা দুর্দান্ত ঢাকাকে এরপর রক্ষা করেন অ্যালেক্স রস আর এসএম মেহেরব মিলে। ৪১ রানে তিন উইকেট হারানোর পর এই দুইয়ের ব্যাটে লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা। কিন্তু খুব বেশিক্ষণ তারা জুটি গড়ে দলকে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজ নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে ভাঙেন অ্যালেক্স-মেহেরবের ৩৯ রানের পার্টনারশিপ।চতুরঙ্গ ডি সিলভাও উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটে কাটা পড়ে তিনি বিদায় নেন নামের পাশে ৪ রান রেখে।