খুলনা-১ আসন বটিয়াঘাটা এবং দাকোপ উপজেলা নিয়ে গঠিত। দাকোপ উপজেলায় ৯টি ও বটিয়াঘাটায় ৭টি ইউনিয়ন এবং চালনা পৌরসভা মিলে এ আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৮২ হাজার ৪৮৩ জন।।
খুলনা শহর সংলগ্ন বটিয়াঘাটা এবং পৃথিবীর একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ঘেঁষা দাকোপ। দক্ষিণের এই জনপদে আসনটিতে ইতোমধ্যে জোরেসোরে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তবে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙ্গণ ও নোনা পানির সাথে বসবাস করা মানুষের আক্ষেপেরও শেষ নাই। খুলনা বিভাগীয় শহরের নিকটতম এ উপজেলা দু’টিতে উন্নয়নের ছোঁয়া নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সর্বস্তরের মানুষের।
ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের আসন হিসেবে পরিচিত,২০১৮ সালে নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছিল ৬৮ হাজার ভোট। তাই আওয়ামী বিহীন আসনের সবচেয়ে বড় দাবিদার বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছয় নেতা।
৪৪ শতাংশ হিন্দু অধ্যুষিত এ আসনটিতে ১৯৯৬ সালে বিএনপির প্রফুল্ল কুমার মন্ডল সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা একচেটিয়া বিজয়ী হন। এবার ২৯ বছর পর আসন পুনরুদ্ধারে মাঠে নেমেছে বিএনপি। যে সব প্রার্থী’রা প্রচারণা চালাচ্ছে তারা হলেন, আমীর এজাজ খান, জিয়াউর রহমান পাপুল, পার্থ দেব মণ্ডল, অ্যাডভোকেট গোবিন্দ হালদার, এস এম শামীম কবির ও তৈয়েবুর রহমান।
সম্ভাব্য প্রার্থীরা সাংগঠনিক তৎপরতার পাশাপাশি শুভেচ্ছা পোস্টার টাঙিয়ে এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। বিএনপির সাবেক জেলা আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, যিনি ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ছিলেন,বিগত ফ্যাসিষ্ট আমলে জুলম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে,অনুসারীরা মনোনয়ন এর ব্যাপারে আশাবাদী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান পাপুল প্রথবাবের মত প্রচারনায় নেমেই আলোচনা আছেন এবং প্রভাব বিস্তার করেছেন দলীয় রাজনীতিতে, ক্লীন ইমেজ কারনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন অনুসারীরা। সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি পার্থ দেব মন্ডল এবার নতুন প্রচারনায় নেমেছে,ভোটের হিসাবে এ আসনে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রাধান্য রয়েছে, তাই মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন অনুসারীরা।
জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম শামীম কবির দাকোপের সন্তান, দাকোপের একক প্রার্থী হওয়ায়,তাকেও এগিয়ে রাখছে, অনুসারীরা। তবে সব পেরিয়ে প্রার্থীরা তাকিয়ে আছে দেশ নেতা তারেক রহমানের দিকে কাকে দিবেন এই খুলনা ১ আসনের মনোনয়ন।