বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণের দাবি নির্বাচনকালীন সরকার। কিন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন, তলে তলে সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে। তারা কিন্ত বলছে না, সুষ্ঠু নির্বাচন দিব। তারা বলছে তাদের কোন চিন্তা নেই, দিল্লী তাদের সাথে আছে। তার মানে আওয়ামী লীগের বাংলাদেশের জনগণের দরকার নেই, সুষ্ঠু নির্বাচনের দরকার নেই।
আওয়ামী লীগ তলে তলে নির্বাচন করা পায়তারা করেছে। ওবায়দুল কাদের একেক সময় একেক কথা বলেন। তিনি এখন দেশের মানুষের কাছে সার্কাসের জোকারে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএনপি’র চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ প্রেরণের দাবিতে ঢাকার নবাবগঞ্জের মাঝিরকান্দায় এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এরআগে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে দোহার উপজেলার ‘বাঁশতলা হতে নবাবগঞ্জের মাঝিরকান্দা’ পর্যন্ত পথযাত্রা করা হয়।
রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দরকার। খালেদা জিয়া আজ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। কিন্ত যখন তাকে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল তখন কিন্ত এত রোগ ছিল না তার। দীর্ঘ ৫/৬ বছর বেগম জিয়া বন্ধি, জনগণ বিশ্বাস করে তার খাবারের মধ্যে, তার ঔষুধের মধ্যে বিষক্রিয়া মিশ্রিত করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রশক্তিকে কজ্বা করে নিয়ে দস্যুর মত খালেদা জিয়াকে বন্ধি করে রেখেছে। হাসিনার কারাগার থেকে মুক্ত করে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা জন্য পাঠাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা বিদেশে থেকে এসে বললেন, যদি বেশি কথা বলেন সব বন্ধ করে দিব। আরে সব বন্ধ করে দিবেন মানে, আমরা আল্লাহ রাজত্বে বিশ্বাস করি। আমরা শ্বাস প্রশ্বাস এটা আল্লাহ দান। শেখ হাসিনার কিভাবে এটা বন্ধ করবেন। শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের জনগণের কাছে ত্যাজ্য হয়নি, তিনি আন্তজার্তিকভাবে ত্যাজ্য হয়েছেন তাই আবুল তাবুল কথা বলছেন।
পথযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুপুর দুইটা থেকেই মিছিল সহকারে দোহারের বাঁশতলা মোড়ে সমবেত হয় নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে মিছিল নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলার মাঝিরকান্দা মোড়ে সমবেত হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খোন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. নিপুর রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় এসময় ঢাকা জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।