কেন্দুয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ভাংচুর ও জখম
শামীম আহমেদ
-
প্রকাশের সময় :
মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৪
-
১৫৭
বার পড়া হয়েছে
জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় দেশীয় ও ধারালো অস্ত্রে গুরুতর আহত, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সরেজমিনে গেলে, ১ ডিসেম্বর ২০২৩ সালের সকাল দশটায় জায়গা-জমি দখলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশীয় ও ধারালো অস্ত্রে গুরুতর জখম, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায় স্থানীয় সূত্রে ।
খোকন মিয়া, রুবেল মিয়া, আল মামুন, আজহারুল ইসলাম, আঃ হান্নান ও মোঃ নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা হলে তারা জানায়, আঃ বারেক একজন একরোখা ও মামলাবাজ মানুষ।
অভিযোগকারী মোছাঃ হোসনে আরা দায়েরকৃত গত (৮ ডিসেম্বর ) এজাহারে আরো জানা যায়, মাসকা ইউনিয়নের মাচিয়ালী গ্রামে মোঃ সোহাগ মিয়ার বসত বাড়ীর উঠোনে অনধিকার প্রবেশ করে আঃ বারেক, সোহাগ মিয়া, শাহীন মিয়া, মাসুম, বিলকিস বেগম, সজিদা খাতুন (সাং মাচিয়ালী) ও ইউসুফ (সাং সাতাশি) পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে চড়াও হলে গুরুতর আহত হোন মোঃ মামুন ও মোছাঃ হোসনে আরা । পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মোছাঃ হোসনে আরা বলেন, আমি অসহায় ও নিরীহ মানুষ। আমি সরকারের আইন ও আদালতের কাছে সঠিক বিচার দাবি করছি।
হক মিয়া বলেন, লুটপাট, ভাংচুর ও জখম করেছে আঃ বারেক ও তাঁর লোকজন। এমনকি আমার মাছের পুকুরের পাড় ও গাছ কেটে ফেলেছে তারা।
অভিযুক্ত আঃ বারেক বলেন, আঃ হক ও মোছাঃ হোসনে আরাসহ তাঁর দলবল আমার বাড়ি-ঘরে আক্রমণ করে। এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলাও করেছি।
মাসকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বাঙালী বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের লোকই আহত হয়।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার এসআই (মামলার তদন্ত কর্মকর্তা) মোঃ রোকুনুজ্জামান রোকনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সাতজন আসামির মধ্যে পাঁচজন জামিনে আছে। বাকী দুজনকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য একই গ্রামের মোছাঃ কহিনূর আক্তার বাদী হয়ে আঃ বারেকসহ সাতজনকে ভাংচুর, জখম ও লুটপাটের ঘটনায় ২৩ অক্টোবর ২০২৩ সালে আমলী আদালতে একটি মামলাও দায়ের করেন।
এ বিভাগের আরো সংবাদ