বরগুনার তালতলীতে সুখি আক্তার (২০) নামের তরুণী এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহত ওই তরুণীর মা ফাতেমা বেগম। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে তালতলী থানায় অজ্ঞাত নামা দিয়ে মামলাটি দায়ের হয়েছে বলে সোনালী নিউজকে নিশ্চিত করেছেন তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম খান।
মামলার ঘটনায় বাদীর সন্দেহ ভাজন হিসেবে তালতলী থানা পুলিশ গতকালই নিহতের স্বামী ও তার শ্বশুর শাশুড়ীকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য থানায় আনলেও পরবর্তীতে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বাদী ফাতেমা বেগম তার এজাহারে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ও ৩৪ ধারায় অজ্ঞাতনামা অভিযোগ দায়ের করলেও নিহত সুখী আক্তারের স্বামী হাসান সর্দার, শ্বশুর সাইফুল ইসলাম সর্দার, শাশুড়ী ময়না বেগম ও তার ফুফাতো ভাসুর আবদুলের উপর সন্দেহভাজন থাকায় তালতলী থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখায়।
এব্যাপারে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, আজ শনিবার গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের কে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অধিকতর তদন্তের সার্থে গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ গতকাল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার চরপাড়া গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সুখি উপজেলার চরপাড়া এলাকার মোঃ হাসান সরদারের স্ত্রী।
নিহত গৃহবধূ গত ৩১ জানুয়ারি ছোটবগী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে সারাদিন কাজ শেষে রাতে নিজ রুমে যায়। এরপর থেকেই তার আর কোন সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। সকালে পরিবারের অন্য লোকজন আত্মীয় স্বজনদের কাছে খোঁজ করেও তার কোন সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি ।
নিখোঁজের দুইদিন পরে গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নিহতের শশুর বাড়ি থেকে ২০০ গাছ দূরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলা ১২ টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে।