কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার কৃতি সন্তান রহমত আলী রব্বান, মানবতা, ন্যায়বিচার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি অবিচল আস্থাশীল এক স্বপ্নবান, প্রজ্ঞাবান ও দূরদর্শী ব্যক্তিত্ব। তাঁর চিন্তা, চেতনা এবং কর্মপ্রবাহের কেন্দ্রবিন্দুতে সর্বদাই থাকে মানুষের কল্যাণে। প্রতিকূল বর্তমান সমাজের বাস্তবতায় তিনি সাহসের সাথে নতুন প্রজন্মকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে একজন আদর্শিক ও রাজনৈতিক পথপ্রদর্শক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
রহমত আলী রব্বান ১৯৮২ সালে বিএনপির ছাত্র দলের রাজনীতি শুরু করেন। সেই সময় ছিলেন এক নিঃস্বার্থ ও দূরদর্শী রাজনীতিবিদের প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠেন মিরপুর উপজেলা বিএনপির জন্য। একজন পরিচ্ছন্ন, সৎ ও আদর্শবান রাজনীতিবিদ, যাঁর পরিকল্পনায় মিরপুরে রাজনৈতিক অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়।
রহমত আলী রব্বানের ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও অর্থায়নে গড়ে ওঠে সামাজিক ও মানবিক উন্নয়ন। নিঃসন্দেহে মিরপুর অঞ্চলের সামাজিক-শিক্ষা অবকাঠামোতে মালিথা পরিবারের অবদান গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণীয়। তিনি একজন দক্ষ, মানবিক ও প্রগতিশীল নেতা হিসেবে মিরপুরে প্রতিচিত্রি লাভ করেন।
রহমত আলী রব্বান, মিরপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, মিরপুর মাহামুদা চৌধুরী কলেজ থেকে এইচএসসি, অতঃপর বি এ ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন, মাহামুদা চৌধুরী কলেজ থেকে। মাস্টার্স ডিগ্রী করেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে।
১৯৮৮ সাল থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে, প্রথম মামলা হয় সেই মামলায় জেলে যেতে হয় তাকে। দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে একাধিক বার জেলে যান তিনি। কয়েকজন ডজন রাজনৈতিক মামলা ছিল তার নামে। সর্বশেষ ৪ আগস্ট ২০২৪ সাল রাতেও তাকে গেপ্তার করেন মিরপুর থানা পুলিশ।
সামাজিক ও মানবিক কাজেও রহমত আলী রব্বানের সক্রিয়তা প্রশংসনীয়। তিনি লিডারশীপ এ্যায়ার্ড প্রাপ্ত হন। এবং নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন নীরবে, নিঃস্বার্থভাবে এইসব অর্জন তাঁকে শুধু একজ আদর্শবান রাজনৈতিক নেতা এবং একজন বহু মাত্রিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
রহমত আলী রব্বান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মিরপুর উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন ধরে, একজন সক্রিয় ও দায়িত্বশীল সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। দলের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা কেবল রাজনৈতিক আনুগত্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং রাজনৈতিক জাতীয় সংকটকালীন মুহূর্তে নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজপথে মিরপুর উপজেলা বিএনপির রাজনৈতিক লড়াইয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন এক নির্ভরতার প্রতীক।
গত সতেরো বছরে ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে যখন দল ও নেতাকর্মীরা নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তখন তিনি মিরপুর উপজেলার অসংখ্য নেতাকর্মীর পাশে দাঁড়িয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করেছেন। বিনা প্রচারে, নিঃস্বার্থভাবে। তাঁর এই নীরব সংগ্রাম, নিষ্ঠা ও দায়বদ্ধতা শুধু দলের দায় বদ্ধ লড়াইয়ের ক্ষেত্রেই নয়, বরং মানবিক মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক আদর্শে ক্লিন ইমেজের অনন্য দৃষ্টান্ত।
তিনি বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত বিভাগীয় ও জাতীয় কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেছেন। নিজ এলাকার কর্মীদের নিয়ে, ও পাশাপাশি মিরপুর থেকে খুলনা ও ঢাকা ,কুষ্টিয়া জেলা ও স্থানীয় কর্মসূচিতেও সবসময় সক্রিয় উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। এভাবেই তিনি একজন সংগঠক, লড়াকু রাজনৈতিক সৈনিক ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
রহমত আলী রব্বান বলেন, রাজনীতিতে বিভেদ নয়, ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে চান মিরপুরের বুকে, এবং বিরোধ নয়, সমন্বয়কে প্রাধান্য দেন। তিনি মনে করেন, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা কোনো ব্যক্তিগত লোভের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং একজন নিবেদিত রাজনৈতিক কর্মীর সাংগঠনিক অধিকার। তবে তিনি সর্বদা দলীয় সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেন, যা তাঁর নীতি ও আদর্শের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। দল যাকেই নমিনেশন দিবে তার জন্য সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতে হবে, সকল ভেদাভেদ ভুলে।
রহমত আলী রব্বান মিরপুর উপজেলা বিএনপির কল্যাণের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি মনে করেন, দলীয় ঐক্য, গণতান্ত্রিক সংগ্রাম এবং জনগণের ভালোবাসা সম্মিলিতভাবে সামনের জাতীয় নির্বাচনে লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে, মিরপুরে সর্বত্র তাঁর সরব উপস্থিতি এবং জনগণের মাঝে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের ফলে এক ধরনের আস্থার পরিবেশ তৈরি করেছে। তরুণ, প্রবীণ এবং সাধারণ মানুষ সবাই এখন তাঁকে আগামীর মিরপুরের বিএনপির রাজনীতির নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ মুখ হিসেবে দেখছেন। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে, তিনি ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন, ইউনিয়ন থেকে উপজেলা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে আধুনিকীকরণ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। এর মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।
আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে রহমত আলী রব্বানের প্রধান অঙ্গীকার। তিনি একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখেন, যেখানে আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হবে এবং প্রতিটি নাগরিক তার প্রাপ্য সম্মান ও স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে। উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি ও শিল্পে যুগান্তকারী পরিবর্তন এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নিশ্চিত করবেন।
গ্রামীণ অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসার এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে মিরপুর উপজেলার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। নারী শিক্ষার প্রসার এবং নারীর ক্ষমতায়নে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার আহবান তার। ধর্মীয় উপাসনালয় গুলোর উন্নয়নেও তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সকল ধর্মাবলম্বীর ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষায় তিনি সচেষ্ট থাকবেন সব সময়।
তরুণ প্রজন্মের চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণে রহমত আলী রব্বান দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি তরুণদের মেধা, শ্রম ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেন। তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ সৃষ্টি, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সুগম করা তাঁর অন্যতম অগ্রাধিকার। রহমত আলী রব্বান মনে করেন, তরুণদের সঠিক দিকনির্দেশনা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে পারলে তারাই দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে। একটি সুস্থ, গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠায় তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে তরুণরা তাঁদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পাবে।
রাজনীতি কেবল ক্ষমতা দখলের মাধ্যম নয়, এটি জনগণের জীবন মান উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম এই বিশ্বাসেই রাজনীতিকে ধারণ করেছেন রহমত আলী রব্বান। তাঁর রাজনৈতিক দর্শন মানুষের মর্যাদা, ন্যায়বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠার পক্ষে।
তাঁর লক্ষ্য একটি মানবিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র, যেখানে নাগরিকরা নিরাপদে, অধিকার নিয়ে, মাথা উঁচু করে বাঁচবে। তিনি বিশ্বাস করেন, সৎ নেতৃত্ব ও শক্তিশালী রাজনৈতিক আদর্শ ছাড়া এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়।
আজ তিনি কেবল একজন দক্ষ রাজনীতিক নন, বরং ভবিষ্যতের নেতৃত্বে আশ্বাস, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আদর্শের একজন দৃঢ় ধারক এবং একটি মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের নিরন্তর প্রয়াসের প্রতীক। তাঁর চিন্তা, কর্মকৌশল এবং নেতৃত্বে রয়েছে সাহস, আদর্শ আর সময়োপযোগী বাস্তবতা।
রাজনীতির দক্ষতা যেমন প্রশংসনীয়, তেমনি ব্যক্তি জীবনে তিনি ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক একজন সজ্জন ও আত্মমর্যাদাশীল মানুষের উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি রহমত আলী রব্বান।