রাজধানীর বনানী থানাধীন মহাখালীর আমতলী এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা ও ফেনসিডিলের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সিকদার মোহাম্মদ আমিনুল নামক এক মাদক ব্যবসায়ী। এখন প্রশ্ন হলো – কিভাবে তিনি দিনের পর দিন প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে? এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য সূত্রে জানা গেছে, আমিনুল আসলে মূল মাদক ব্যবসায়ী না। সে শুধুমাত্র সেলসম্যান। তার পেছনে রয়েছে একজন প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা। তার হয়েই কাজ করে আমিনুল। সেই যুবলীগ নেতার ছায়ার কারনেই আমিনুল এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর এলাকার কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে হতে হয় বর্বর নির্যাতনের শিকার। সেই যুবলীগ নেতার ভয়ংকরসব অপরাধের কথা এলাকার সবার জানা থাকলেও ভয়ে তার নাম কেউ প্রকাশ করে না। আমিনুল শুধু মাদক ব্যবসা করে না, সেই যুবলীগ নেতার নির্দেশে চাঁদাবাজিসহ নানান রকম অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথেও জড়িত। আমিনুলের একটি সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনীও রয়েছে।
গত শনিবার (২ মার্চ) রাত ৮ টার আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ গ্যাস ব্যবসার দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে মহাখালী সাততলা বস্তি এলাকায় যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই সংঘর্ষের একটি ভিডিওতে দেখা যায় মাদক ব্যবসায়ী আমিনুল দেশীয় অস্ত্র রামদা হাতে সরাসরি সংঘর্ষে অংশ নেয় এবং চারজনকে কুপিয়ে জখম করে। সেই চারজনসহ সংঘর্ষে অন্তত দশজন গুরুত্বর আহত হন।
খোঁজ খবর নিলে জানা যায়, আমিনুল বনানী থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। মাদক ব্যবসা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। সে মহাখালী আমতলী বন ভবন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার মাদক ব্যবসার খবর স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে মুখে কিন্তু তবুও অধরা। এরকম চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কিভাবে ছাত্রলীগের পদ পায় তা নিয়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও সে স্কুলের গন্ডিও পেরুতে পারেনি তবুও ছাত্রলীগ নেতা।
মাদক ব্যবসায়ী আমিনুল। ফোন করলেই পৌঁছে দেন চাহিদা মতো ফেনসিডিল ও ইয়াবা। বৈধ কোন চাকরি কিংবা ব্যবসা নেই তবুও গ্রামের বাড়িতে অঢেল সম্পত্তি। যার কিছুই আগে ছিল না। তিন বেলা নাকি ঠিক মতো খেতেই পারতো না আমিনুল। এখন লাখ লাখ টাকার মালিক।
প্রতিদিন সকালে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা যখন মহাখালী বন ভবনের আশপাশের গলির রাস্তা ঝাড়ু দিয়ে ময়লা একত্রে করেন তখন ফেনসিডিলের বোতলের স্তূপ জমতে দেখা যায়। স্থানীয়রা জানায়, এসব ফেনসিডিল প্রতিদিন আমিনুলের হাতেই বিক্রি হয়।