বরগুনার আমতলী পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী মতিয়ার রহমান। এ নিয়ে তিনি পর পর তিনবার আমতলী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলেন।
শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। পরে ভোটের ফল প্রকাশ করে নির্বাচন অফিস।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান ৬ হাজার ৪৭৩ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক মেয়র ও আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল আহসান খান নান্নু হ্যাঙ্গার প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৭০ ভোট।
১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর আমতলী পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠাকালে পৌর প্রশাসক হিসেবে তৎকালীন আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র দে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ সালের ৬ মে নির্বাচনে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মো. আ. ছত্তার মৃধা। ২০০৫ সালের ৩০ জুলাই দ্বিতীয় নির্বাচনে নির্বাচিত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল আহসান খান নান্নু।
তৃতীয় দফা ২০১১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত এবং ২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত হন মেয়র মো. মতিয়ার রহমান।
আমতলী পৌরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, সকল অপশক্তিতে পিছনে ফেলে আপনারা যে অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছেন তার ঋণ শোধ করবার ক্ষমতা আমার নাই। আমার এই কঠিন সময়ে আপনারা আমার পাশে ছিলেন কথা দিচ্ছি আমিও আমার জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আপনাদের পাশে থাকবো।
এই জয় আমার নয়। এই জয় আপনাদের ভালোবাসার। এই জয় আমাকে আপনাদের সাথে আরও কৃতজ্ঞতার জালে বন্দী করে দিলো।
আমরা বিজয়ের আনন্দ উপভোগ করব তবে সেটি এখনই নয়। আপনারা নির্বাচনের পূর্বে যেভাবে শান্তি- শৃঙ্খলা বজায় রেখেছেন আশাকরি এখনো সেই সহনশীলতা বজায় রাখবেন। অতি উৎসাহী হয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাবেন না। অতি উৎসাহী হয়ে কেউ কিছু ঘটালে তার দ্বায় নিজেকেই নিতে হবে। সবাই মিলেমিশে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবেন। একটি শান্তিপূর্ণ ও আধুনিক পৌরসভা নির্মাণে আপনাদের সকলের সহযোগিতা ও ভালোবাসা চাই।