সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে হরিলুট চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ৪, ২০২৪, রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে যে হরিলুট চলছে। তারই প্রতিফলন হচ্ছে পাহাড়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠির সাম্প্রতিক সময়ের ব্যাংক ডাকাতি ও লুটপাট। সরকারের ঘনিষ্টজনদের সীমাহীন দুনীতি, লুটপাট ও টাকা পাচারে ঘটনা দেখে পেশাগত ডাকাতরা উৎসাহিত হয়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠি পাহাড়ে ব্যাংক ডাকাতি বা লুটেপাটের ঘটনা ঘটাচ্ছে। সরকারের নতজানু নীতির কারণে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পাহাড়ে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য সৃষ্টি করেছে। সুতরাং সমাজে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির জন্য অগণতান্ত্রিক সরকার দায়ী।
তিনি বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসের ঘটনায় যে সরকারের সম্পৃক্ততা নেই, সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এটি অত্যন্ত রহস্যজনক। তারা (সরকার) জনদৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে নিতে এ ধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে কি না তাও বলা যাচ্ছে না। পাহাড়ে সন্ত্রাসী ঘটনা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
দেশে যখন গণবিরোধী সরকার থাকে তখন দেশের অভ্যন্তরে নানা সন্ত্রাসীগোষ্ঠি জন্ম নেয় মন্তব্য করে রিজভী বলেন, দেশে বর্তমানে যে ভযাবহ সংকট চলছে, চারদিকে অভাব অনটন, ব্যাংক হরিলুট, অর্থ পাচার, দ্রব্যমুল্রের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস, সীমান্তে লাগাতার হত্যা, সরকারের নতজানু নীতি, আজ যে শিশু জন্ম নিচ্ছে তার মাথায়ও এক লাখ টাকা ঋন, অভাবের তাড়নায় বা হাসপাতালের বিল পরিশোধ না করতে পেরে মা তার শিশুকে বাজারে নিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে সব মিলিয়ে এ রকম ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। তা আড়াল করতেও সরকার নানা ঘটনা ঘটাতে পারে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র যখন নিজেই লুটেরাদের ভুমিকা পালন করে, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের উপর ভর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়, সেটা দেখেতো সমাজে পেশাগত ডাকাতরা উৎসাহিত হবেই।