আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। দুই বোন দেশের বাহিরে থাকায় প্রাণে বেচে যান। পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসেন। তিনি কিন্তু তার পরিবার হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিবে দেশে আসেননি। তিনি তার বাবার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশে আসেন।
সালমান বলেন, বিএনপি দাবি করছেন বিদেশিরা তাদের ক্ষমতায় এনে দিবেন। বিদেশিরা আওয়ামী লীগ সরকারকে চায় না। আমি তাদের বলতে চাই বিদেশীরা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আবারও বাংলাদেশ দেখতে চায়। কারণ আজও মার্কিন কোম্পানির বড় বড় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ৩০-৩৫ জন মার্কিন ব্যবসায়ী আমার সাথে মতবিনিময় করার জন্য বসে আছেন।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের অনেক সহ্য করেছি। আপনারা প্রতিনিয় বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। আবার যদি এই ধরনের ষড়যন্ত্র করেন আপনাদের সাথে রাজপথে ফয়সালা হবে। আমরা আওয়ামী লীগ দাত ভাঙ্গা জবাব দিবো।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুনের সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ঘোষনা দিয়েছিলেন ১০ ডিসেম্বর বেগম খালেদার প্রধানমন্ত্রীত্বে দেশ চলবে। আপনাদের ডিসেম্বর চলে গেছে। এখন আবার শুনতে পাচ্ছি অক্টোবরে শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে। আসলে আমরা ষড়যন্ত্রের নামে স্বপ্ন দেখছে। মনে রাখবেন শেখ হাসিনাকে হটানো এতো সহজ না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন মিয়া।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, দোহার উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন প্রমুখ।