বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্ট জয়ী নিশাত মজুমদার বলেছেন, জীবনে চলার পথে অনেক বাঁধা আসবে। হতাশা আসবে, আসবে বহু ঘাত-প্রতিঘাত। কিন্তু সেগুলোর কাছে কখনোই মাথা নত করা যাবে না। মনে রাখবা, এগুলোর মধ্যে লুকিয়ে আছে তোমাদের মঙ্গল ও সফলতা।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজের ১ যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এভারেস্টের চূড়ায় উঠা সহজ ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেদিন এভারেস্টে যখন উঠছি, তখন একটি দুর্ঘটনা ঘটে। উপর থেকে বিশাল একখণ্ড বরফ হটাৎ ভেঙে পড়ে। ওই ঘটনায় অনেকের মতো আমিও আহত হয়েছি। ওইদিন হতাশ না হয়ে আমি দৃঢ় মনোবল নিয়ে পৌঁছে গিয়েছি এভারেস্টের চূড়ায়। কিন্তু রক্তাক্ত আহত হওয়ায় যদি আমি ওইদিন বাড়ি ফিরে আসতাম। তাহলে আজ হয়তো তোমাদের সামনে আসতে পারতাম না।
নারী এভারেস্ট জয়ী নিশাত মজুমদার বলেন, কোন মানুষ কখনো সটকাটে বড় হতে পারে না। বড় হতে হলে, প্রথমে পরিকল্পনা করতে হয়। এরপর সততার সঙ্গে পরিশ্রম করে যেতে হবে। তবেই সাফল্য আসবে। মনে রাখবা, সহজভাবে অথবা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সফলতা অর্জন করা যায় না।
কাজী ফারুকী কল্যাণ ট্রাস্টের কো-চেয়ারম্যান ডা. কাজী মো. নুর-উল ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
এছাড়াও ছিলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকী, বিইউবিটির উপ-উপাচার্য ড. মো. আলী নুর, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মাইন উদ্দিন পাঠান, জহিরুল গ্রুপের সিইও লায়ন জহিরুল ইসলাম, রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন, প্রফেসর কাজী ফারুকী কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভূইয়া, প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, ওমর ফারুকসহ আরও অনেকে।