নীলফামারী জেলার, ডোমার উপজেলার, ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের হল রুমে গতকাল ২৭শে জুন শুক্রবার বিএনপির তৃণমূল প্রতিনিধি সভা চলাকালীন সময়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় কেউ আহত না হলেও নেতাকর্মীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান মাফিক, রাত ৯টা সময় তাতি দলের নেতা নয়ন ইসলামের বক্তব্যের পর এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হামলাকারীরা প্রথমে নাট্যমঞ্চে ঢিল ছুড়ে, তারপর জানালাতে সজোরে আঘাত করে, বিএনপি’র নেতাকর্মীরা আতঙ্কে হল রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। বিএনপির বিভিন্ন নেতা অভিযোগ করে এই হামলার পেছনে আওয়ামী লীগ দায়ী। ডোমার সদর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের নেতা মাসুদ রানা বলেন, হলরুমের জানালাগুলোতে যখন আঘাত করতেছিল তখন সবাই আতঙ্কিত হয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। তবুও হামলাকারীরা এসে দরজাতে হামলা করে এবং অকর্থ ভাষায় গালাগালি করে। পাঁচ সাত মিনিট প্রোগ্রাম চলাকালীন হামলাটি হয়। পরে সবাই বাইরে গিয়ে তাদেরকে ধরতে গেলে সবাই পালিয়ে যায়। নাম না বলা সত্বে, একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হামলাকারীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র, চুরি, চাপাতি, লোহার রড, ইট পাথর ছিলো। তারা যখন প্রোগ্রাম চলাকালীন হামলা করে তখন অনেকজন ভয় পেয়ে গিয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রদলের নেতা রিপন ইসলাম বলেন, ডোমার পৌরসভার ছাগলটারির বাসিন্দা বাঁধনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রোগ্রামে হামলা করেছে। তারা হল রুমের বিভিন্ন স্থানে হামলা করেছে। বিএনপি’র প্রোগ্রামে হামলার বিষয়ে বাঁধন ইসলাম বলেন, আমি নিজেই বিএনপি করি আমি কেন হামলা করবো ? বৃহস্পতিবার একটি মারামারিকে কেন্দ্র করে আজকে (শুক্রবার) ছোট ভাইরা প্রোগ্রামের ওখানে গিয়েছিল। কিন্তু তাঁরা হামলা ও মারামারি সেখানে ঘটায়নি। ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম বলেন, হামলার বিষয়ে কেউ কোন ধরনের অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।